হাসপাতালে গত ছয়দিন ধরে চিকিৎসাধীন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ষষ্ঠদিনে অনেকটাই সুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরি সার্পোট থাকলেও তিনি যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। বুধবার থেকেই চিকিৎসক ও ভিজিটারদের সঙ্গে কথা বলছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।

একটু সুস্থ বোধ করার পর থেকেই বাইপ্যাপ সহ রাইলস টিউব খুলে ফেলতে চাইছেন বুদ্ধদেব ভট্টচার্য। ভেন্টিলেশন থেকে বেরনোর পর থেকেই সমস্ত ধরনের সার্পোট সরিয়ে নিতে আর্জি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাইলস টিউব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ শুধু করাই নয়, বরং বুদ্ধবাবু নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠের কাছে অসুস্থ শরীরেও আম খাওয়ার আবদার জানান। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও সেখানে আসেনি। তবে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাছে থেরাপিস্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। যদিও চিকিৎসকেরা নিজেরাও চাইছেন শীঘ্র বুদ্ধবাবু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।

Buddhadeb Bhattacharjee News: পাঁচদিন বাদে বললেন কথা, আম খাওয়ার আবদার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের

এদিনের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বুকের ইউএসজি করা হবে। ফুসফুসের সংক্রমণ মাত্রা ও বাকি ফ্যাক্টরগুলি জানতে করা হবে এই পরীক্ষা। তবে এই মুহূর্তে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাকি প্যারামিটার সন্তোষজনক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও সংক্রমণের কারণে চলছে অ্য়ান্টি বায়োটিকের কোর্স। শনিবার শেষ হবে সেই কোর্স। হাসপাতালে সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ছত্তিশগঢ় থেকে কলকাতায় আসছেন প্রবীণ, অভিজ্ঞ ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তাঁকে পরীক্ষা করে কী পরামর্শ দেন সেদিকে তাকিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড।

Buddhadeb Bhattacharya Mamata Banerjee: ‘আমাকে দেখে হাত নাড়লেন…’, বুদ্ধদেবকে দেখে এসে জানালেন মমতা

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাইলস টিউব ছাড়া খাওয়ানোর ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করছেন চিকিৎসকেরা। সেই জন্য একজন স্পিচ ও সোয়ালো থেরাপিস্ট এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে আসেন। তাঁর গলার মাসলগুলো এখন কী পরিস্থিতি তার উপর নির্ভর করছে কবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাইলস টিউব ছাড়া নিজে খেতে পারবেন। গলার মাসল সক্ষম না হলে খাবার গিলে খাওয়া সম্ভব হবে না সেক্ষেত্রে খাদ্যনালীর খাবার শ্বাসনালীতে চলে গেলে অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া হবে। একটা নিউমোনিয়া সারতে সারতে অন্য কোনও বিপত্তি ঘটলে তা সামলানো বিপজ্জনক হয়ে যাবে। তাই নিশ্চিত না হয়ে মুখে খাওয়ানোর ছাড়পত্র নিয়ে সাবধানী চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগে চেয়ে যথেষ্ট স্থিতিশীল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে চলছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফিজিওথেরাপি। বিরতি দিয়ে চলছে বাইপ্যাপও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version