একের পর এক মামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করার পর এবার হাইকোর্টের কর্মচারি সংখ্যা কম থাকা নিয়ে নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার নিজের এজলাসে এই বিষয়ে রীতিমতো ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে প্রতিদিন কিছু না কিছু আবেদন জমা পড়ছে আগের দেওয়া নির্দেশের কারেকশান বা ত্রুটি মুক্তি চেয়ে।

Justice Abhijit Ganguly : ‘আদানিকে স্কুল বেচে দিন…’, শিক্ষকদের ‘দুর্দশা’ দেখে মন্তব্য ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
গত কয়েকদিন ধরে এই বিষয়ে সময় দিতে দিতে এদিন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে আদালতের। তলব করা হয় অফিসারদের। তাঁদের তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি লোকের অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন সরাসরি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘লোক দেওয়া না হলে কোর্ট এবার উঠে যাবে। আমি অসহায়। এই ভাবে চলতে পারে না। লোকের ব্যবস্থা করুন। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। লোক দেওয়া না হলে এটা হাইকোর্টের বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না।’

Calcutta High Court : ‘রাজ্যের লজ্জা…!’ উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, তদন্ত গেল CID-র হাতে
এছাড়াও উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমাকে আগে উঠে যেতে হবে। লোক না পেলে কোর্ট চালাব কি করে!’ সেই সঙ্গে ত্রুটির সংশোধন নিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘তারপরেও যে লোক নোট নিচ্ছেন, তিনি দিনের পর দিন ভুল লিখছেন। এরপর সেই সমস্যা কোর্টের ঘরে আসবে, এটা চলতে পারে না।’

Calcutta High Court: ‘সুপ্রিম নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে লাখ লাখ টাকা খরচ…!’ রামনবমী মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষোভ
ভরা এজলাসে এইভাবে ভর্ৎসনা করায় স্বাভাবিকভাবেই আইনজীবী ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে বিভিন্ন কাজের জন্য অনেক কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। অনেক সময়েই ঘনিষ্ঠ মহলে আইনজীবীদের একাংশও কর্মচারীদের কম থাকা নিয়ে অসন্তোষ বা উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version