জানা গিয়েছে, মন্দারমনি সংলগ্ন পুরুষোত্তমপুরে সমুদ্র উপকূলে অবৈধভাবে হোম স্টে তৈরি করার ঘটনা নজরে আসে প্রশাসনের। এরপরেই তড়িঘড়ি নেওয়া হয় পদক্ষেপও। জানা গিয়েছে, কাঁথির প্রশাসন সমুদ্র উপকূলে গড়ে ওঠা এই অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশের পরেই তৎপর হয় দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
মোট চারটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য তৎপরতা নেওয়া হয়। মন্দারমনি পুলিশের সাহায্যে এই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এমনকী, বুলডোজার আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বাধাদানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও পরবর্তীতে স্থানীয়রা আশ্বাস দেন, এই বেআইনি নির্মাণ তাঁরাই ভেঙে ফেলবেন। এরপর পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে।
ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁথির মহকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “খাস জমিকে হোম স্টে গড়া হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল খতিয়ে দেখে এই বেআইনি নির্মাণগুলিকে সরাতে হবে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার তা ভাঙার জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং আধিকারিকরা। এরপর হোটেলের মালিকরা অনুরোধ করেন তারাই এই নির্মাণ সরিয়ে নেবেন। যদি তা না করা হয় সেক্ষেত্রে প্রশাসনই তা ভেঙে দেবে। এক্ষেত্রে চারটি হোটেল এবং হোম স্টেকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।”
এদিকে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিকের কথায়, মহকুমা শাসক চারটি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক প্রশাসনের কর্তারা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু, স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। সাত দিনের মধ্যে এই নির্মাণ ভাঙা না হলে পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।”
পাশাপাশি মন্দারমনি বিচ হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস বলেন, “এটা পুরুষোত্তমপুরের দিকে ঘটেছে। ওরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই ঘটনার পর গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। পরে তারা জানায় নিজেরাই এই নির্মাণ ভেঙে দেবে। ওদের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ওখানে যে হোম স্টে বা হোটেল তৈরি হয়েছে সেগুলো নতুন। এই নতুনগুলি প্রশাসন ভাঙলে আমাদের বলার কিছু নেই। কিন্তু, পুরনোগুলি ভাঙলে সমস্যা হবে। আমাদের সমস্ত বৈধ কাগজ রয়েছে। তবে রিনিউয়াল না হলে সেটা আমাদের সমস্যা নয়।”