সাপের নাম-পরিচয়
দিঘার এই নতুন ত্রাসের নাম, ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক। বৈজ্ঞানিক নাম ‘পেলামিস প্ল্যাটুরাস’। আড়াই থেকে তিন ফুটের হয় এই সাপ। লেজ নৌকোর দাঁড়ের মতো চ্যাপ্টা! আরব সাগরে দেখা মেলে এই সাপের। এর বিষে পেশি অকেজো করে দেয়। একে একে কিডনি, হার্ট বিকল হতে থাকে। দেখতে যতটা সুন্দর আদতে ততটাই ভয়ঙ্কর। তবে সর্প বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, আদতে এই সাপ খুবই শান্ত প্রকৃতির, যার কামড়ের রেকর্ডও বেশ কম।
কী বলছে বনদফতর?
এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের DFO অনুপম খান এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘আমরা নিজে চোখে এই সাপ এখনও দেখিনি। তবে যে ভিডিয়োতে অনেকেই এই সাপ দেখেছেন, তা আমরাও দেখেছি। নিঃসন্দেহে সমুদ্রের সাপের ক্ষেত্রে বিষ কিছুটা বেশি থাকে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গেও কথা বলছি। যদিও খুব ভয়ের কিছু নেই, নিজে থেকে সাপকে কেউ উত্যক্ত না করলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম। মাটির উপরেও তো সাপ রয়েছে। সেক্ষেত্রে যেরকম সচেতন থাকতে হয়, এক্ষেত্রে তা থাকতে হবে।’
কী বলছে প্রশাসন?দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানস কুমার মণ্ডল এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘বন দফতরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা কয়েকদিনের মধ্যে দিঘা এলাকা জুড়ে সচেতনতার প্রচার শুরু করব। আমরা পর্যটকরা যাতে সাপ জীবজন্তুদের মারধর না করে সেদিকে যেমন সচেতন করব, তেমনই পর্যটকদের সচেতন করা হবে যাতে তাঁরাও অহেতুক ভয় না পায়। এই ধরনের বিষধর সাপ নিয়ে কিছুটা চিন্তা আমাদের তো থাকছেই।’
কী বলছেন হোটেল মালিকরা?দিঘা হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরাও বিষয়টি জানতে পারি। তবে সাপটির দেখা মেলেনি। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাপটির বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে। দিঘায় আসার আগে পর্যটকরা আমাদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে, তাঁদের আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারছি না। অনেকে ভয়ও পাচ্ছেন। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক আমরা এটাই চাইব।’