শনিবার রাতারাতি পালটে গিয়েছে বেহালার চৌরাস্তার চেহারা। পুলিশি তৎপরতাও ছিল নজরে পড়ার মতো। শুক্রবার যে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে শহর কলকাতার এই অংশ, তা একনজরে দেখে বলার জো নেই। শুক্রবার বাবার সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল ৮ বছরের খুদে সৌরনীল সরকার। অটো থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের সময়ই একটি লরি কার্যত পিষে দেয় তাকে। মৃত্যু হয়, সৌরনীলের বাবা সরোজ সরকারেরও।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, সিগন্যাল লাল ছিল। কিন্তু, এর তোয়াক্কা করা হয়নি। এরপরেই সকালের দিকে কেন ট্রাফিক পুলিশ সেখানে থাকে না! কে ট্রাফিক সিগন্যালের তোয়াক্কা করা হল না! এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন তুলে কার্যত রণংদেহি ওঠে ওঠেন স্থানীয়রা।

Second Hooghly Bridge: বেহালার পর এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ‘বেপরোয়া’ লরি প্রাণ কাড়ল তরুণীর
ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে দুষেছেন অনেকেই। কিন্তু, এই বিতর্কের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি একটি টুইটে লিখেছেন, “বাচ্চাটার ছবিটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই দায়ী। গোটা সিস্টেম দায়ী। আমরা একটা সার্বিক বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত। একটা লরি বা দুজন পুলিশের দিকে আঙুল তুললে শেষ হবে না। এই পাপ আমাদের সবার।”

কুণালের এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বেহালার চৌরাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। শুক্রবার এই অশান্তির জেরে দীর্ঘক্ষণ তা বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল থেকেই কার্যত খলনলচে বদলে গেল সেখানে। ডায়মন্ড হারবার রোডে এদিন বসানো হয়েছে ড্রপ গেট এবং ব্যারিকেড। যদি ড্রপগেট ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় সেক্ষেত্রে অনেকটাই দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Behala Road Accident: শিশু মৃত্যুতে তুলকালাম বেহালায়, স্কুলের মধ্যে কাঁদানে গ্যাস ফাটানোর অভিযোগ! অসুস্থ পড়ুয়ারা
যদিও স্থানীয়দের ক্ষোভ সৌরনীলকে হারানোর আগে কেন এই তৎপরতা দেখানো হল না! সেক্ষেত্রে কি কোনও অঘটন না ঘটলে টনক নড়ে না প্রশাসনের? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ।

ফুটপাথের দখলদারি নিয়ে এর আগেও বেহালাতে অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনের একাংশ বিষয়টি নিয়ে উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছিল। আর সেই জন্যই সেখানে একাধিক ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলে।

Kolkata Traffic Update : মিটিং-মিছিলে থাকবে ভোগান্তি? জানুন মঙ্গলবার কলকাতার ট্রাফিকের হালচাল
এদিকে শুক্রবার এই ঘটনায় বেহালা তপ্ত হয়ে ওঠার পরই মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে পরিস্থিতি প্রসঙ্গে খোঁজ নেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও বিস্তারিত খোঁজ নেন তিনি। পাশাপাশি রাতে মৃত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version