অমৃত ভারত প্রকল্পের হুগলির চারটি রেল স্টেশনের কাজের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের নতুন রূপ দেওয়া হবে।এই প্রকল্পের অধীন পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩৭ টি রেল স্টেশনের শিলান্যাস করা হয়েছে। যার মোট ব্যয় হবে ১৫০৩.৪ কোটি টাকা।
হুগলি জেলায় শেওড়াফুলি, ডানকুনি, তারকেশ্বর এবং চন্দননগর মোট চারটি রেল স্টেশনকে নতুন ভাবে রূপ দেওয়া হবে। হাওড়া ডিভিশনের অধীনে থাকা নটি স্টেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। তার মধ্যে শেওড়াফুলিকে নতুনভাবে সাজাতে ৩১.১ কোটি টাকার ব্যায় ধার্য করা হয়েছে। থাকছে ১২ মিটার চওড়া একটি ফুটওভার ব্রিজ।
যেটা স্টেশন অফিস থেকে বাজার পর্যন্ত এই ফুট ওভার ব্রিজ করা হবে। এছাড়া লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। যদিও স্টেশনের মধ্যে থাকা হকারদের জন্য কি ব্যবস্থা করা হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি শেওড়াফুলির স্টেশন ম্যানেজার রাম আধার প্রসাদ।
স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের সদস্যদের এদিন শেওড়াফুলি স্টেশনে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া রেলের ডিভিশনাল অফিসার থেকে নোডাল অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এদের উপস্থিত ছিলেন। গোটা শেওড়াফুলি স্টেশন চত্ত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর বড় বড় ছবিতে।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের মধ্যে রয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ৫৬টি স্টেশন। এই প্রকল্পের অধীনে স্টেশন গুলিকে নতুন করে সাজিয়ে, আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৫৬টি স্টেশনের মধ্যে অসম রাজ্যের ৩২টি, ত্রিপুরায় ৩টি, পশ্চিমবঙ্গে ১৬টি, বিহারে ৩টি এবং নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে একটি করে স্টেশন রয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে।
এতগুলো স্টেশনে কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কাজের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একাধিক স্টেশনে ইতিমধ্যে আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে হুগলি জেলায় চারটি স্টেশনের নব রূপে খবরে খুশি জেলার বাসিন্দারা। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজের শেষের আশায় রয়েছেন জেলার বাসিন্দারা।