জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে দলীয় কর্মসূচি সেরে শ্রীরামপুর থেকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাগনানের দিক দিয়ে ফিরছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। বাগনানের কাছে তিনি লক্ষ্য করেন রাস্তার পাশে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবক। বিষয়টি দেখে চালককে গাড়ি থামাতে বলেন সংসদ। তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। আশপাশের কাউকে না দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ নিজেই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সংসদ। এরপর দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে আহত দুই যুবককে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানেন। পরে দুই যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল জানার পর নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন প্রায় ২০ কুড়ি মিনিট হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে তাঁর দলেরই সাংসদ এস এস আহলুয়ার বিরুদ্ধে উঠল আহত মহিলাকে সাহায্য না করার অভিযোগ। রবিবার বর্ধমান রেল স্টেশনে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অনুষ্ঠানে যোগ দেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এস এস আহলুয়ালিয়া। সেখান থেকে ফেরার সময় বর্ধমান শহরের বীরহাটা এলাকায় ঊষা হাটি নামে এক মহিলাকে ধাক্কা মারে সাংসদের গাড়ি। বিজেপি সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আহত হন ওই মহিলা। কিন্তু অভিযোগ, মহিলার ধাক্কা লাগার পরেও গাড়ি থেকে নামেননি এস এস আহলুয়ালিয়া। উলটে তিনি নাকি বলেন, ‘হয়ে গেছে তো আমি কী করবো?’ এমনকী চিকিৎসার খরচ চাইলে তাও দেননি বলে দাবি ওই আহত মহিলার। এরপর স্থানীয়রা বাসিন্দারাই তাঁকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঊষা হাটিকে। খবর পেয়ে ওই মহিলাকে হাসপাতালে দেখতে যান বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। আহতের চিকিৎসার সমস্তরকম ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।