পুলিশের হাত ছাড়িয়ে যুবক ভাগিরথীকে ঝাঁপ দিয়েছে বলে অভিযোগ, পরে উদ্ধার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। ঘটবার প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে মৃতদেহ উদ্ধারের পর নৌকায় করে অন্যঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম অতনু ঘোষ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিশ্বর এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে বছর কুড়ির ওই যুবক ঝাঁপ দেন ভাগিরথীতে। পুলিশের হাত থেকে পালিয়েই ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ মারেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এরপর যুবকের খোঁজে নদীতে শুরু হয় তল্লাশি। রবিবার রাতে উদ্ধার হয় দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যদিও পুলিশের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ফরাসডাঙা থেকে নৌকা করে য়ুবকের মৃতদেহ কলেজ ঘাটে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে দেহটি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Nabagram Incident Today : নবগ্রাম থানায় যুবককে ‘পিটিয়ে মারা’য় সাসপেন্ড ওসি, বিভাগীয় তদন্ত আইও-র বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদেরই নবগ্রাম থানার লকআপে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। চুরির অভিযোগে থানায় নুয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হবে বললেও ছাড়া হয়নি বলে দাবি পরিবারে। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। থানার ওসি অমিত কুমার ভকতকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি সাব ইন্সপেক্টর তথা আইও শ্যামল মণ্ডলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। এরই মাঝে তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত যুবকের বাবা। ওই দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার, জোর খাটিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ানোর চেষ্টার মতো বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Murshidabad News : লকআপে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানা চত্বর
এই ঘটনাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান শুরু হয়। এমনকী একসময় থানার গেট ভেঙে ফেলারও চেষ্টা হয়। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধেও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে নবগ্রামে পুলিশ লকআপে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরীও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version