এদিকে মেট্রো কর্তৃপক্ষও এই লাইনের ফলে সুবিধা পেতে চলেছে। কারণ এই লাইন ব্যবহার বসানোর পর শক্তির ব্যবহার কমবে ৮৪ শতাংশ। যেহেতু অ্যালুমিনিয়াম বিদ্যুতের সুপরিবাহী, অর্থাৎ এটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতা খুবই ভাল, তাই সিস্টেম ভোল্টেজ ড্রপের কারণে যে শক্তির অপচয় হয় তা কম করার ক্ষমতা রয়েছে এই লাইনের। যার ফলে বছরে আনুমানিক ১ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী এবার ভাড়া কমবে মেট্রোর? এই প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ভাড়ার সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই। ভাড়াটা আমরা সিদ্ধান্ত নিই না, ভাড়াটা সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে বোর্ড। আঞ্চলিকভাবে আমরা এটা সাশ্রয় করতে পারছি, এটাই।’
তাহলে এবার প্রশ্ন সাশ্রয় হওয়া অর্থ দিয়ে কী হবে? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, থার্ড লাইন পরিবর্তন করতে যে খরচ হবে, তা সাশ্রয় করা অর্থ দিয়ে তিন বছরের মধ্যে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। যদিও এই বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাননি কৌশিক মিত্র। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমার এগোচ্ছি, সাশ্রয়টা হতে দিন, তারপর আমরা সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। সাশ্রয়টা কতটা হবে, সেটা তো আমরা অনুমানের ওপর এগোচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড লাইন বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ হলে বার্লিন, মিউনিখ, সিঙ্গাপুর, ইস্তানবুল, লন্ডন ও মস্কোর সঙ্গে একই সারিতে চলে আসবে কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখা। যদিও উত্তর-দক্ষিণ শাখায় এই লাইন নতুন বসানোর পরিকল্পনা হলেও এর আগে ইস্ট-ওয়েস্ট ও জোকা-তারাতলা শাখায় তা ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে উত্তর-দক্ষিণ শাখায় নয়া এই থার্ড লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানাচ্ছে মেট্রো।