যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে এক প্রাক্তনীকে আটক করল পুলিশ। নিহত ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই আটক। স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে তাঁর বাবার রামপ্রসাদ কুণ্ডুর করা এফআইআর-এ নাম ছিল সৌরভ চৌধুরীর।

পুলিশ সূত্রে খবর, সৌরভকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বয়াবে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলে খবর। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে এই প্রথম গ্রেফতারি। সকালেই যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়ে স্বপ্নদীপ খুন হয়েছেন এই মর্মে এফআইআর করেন মৃত ছাত্রের বাবা। এরপরই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অর্থাৎ খুন এবং সম্মিলিত অপরাধের ধারা যোগ করে তদন্তে নামে পুলিশ। সন্ধেয় গ্রেফতার প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী।
Jadavpur University News: ‘ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে’, স্বপ্নদীপের বাবার দাবিতে রুজু খুনের মামলা

জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবার অভিযোগ, ‘প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীই প্রধান কালপ্রিট।’ তাঁর দাবি, ‘আমার বিশ্বাস সৌরভ ও আরও কয়েকজন মিলে আমার ছেলের উপর অত্যাচার হয়েছে। সৌরভের নেতৃত্বেই এসব হয়েছে।’ স্বপ্নদীপের মামা জানিয়েছিলেন, সৌরভই স্বপ্নদীপের মৃত্যুর খবর তাদের ফোন করে জানায়। ফোন বলেছিল স্বপ্নদীপ ঝাঁপ দিয়েছে।
Jadavpur University Student Death: ‘ফোনে বলেছিল অনেক কিছু বলার আছে…’, যাদবপুরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের

উল্লেখ্য, হস্টেল ইন্টারভিউ জায়গা না পাওয়ার পর এই সৌরভই এগিয়ে এসে স্বপ্নদীপ ও তাঁর বাবাকে আশ্বস্ত করেছিল সে গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাঁর উপর বুধবার সন্ধেয় নিশ্চিতভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। ওই দিন সন্ধেয় বহুবার বাড়িতে ফোন করে কিছু বলতে চেয়েছিলেন নিহত ছাত্র। কিন্তু তা আর বলা হয়নি। শেষ ফোনে স্বপ্নদীপ বলেছিলেন, তিনি ভালো নয় তাঁকে যেন জলদি সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আর কথা হয়নি।
JU Student Death: প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে র‌্যাগিংই কারণ? যাদবপুরের অধ্যাপকের পোস্টে চাঞ্চল্য

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে এমএসসি পাশ করেন সৌরভ অধিকারী। প্রাক্তন হওয়ার পরও তিনি হস্টেলেই থাকতেন। মেস কমিটির গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার ছিলেন। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ডঃ রজত রায়ের বয়ানেও উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। এক বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ঘটনার দিন রাত ১০টা নাগাদ এক ছাত্র তাঁকে ফোন করে অন্য ছাত্রের ব্যাপারে জানান। ফোনে বলা হয় ওই ছাত্রকে পলিটিসাইজিং করা হচ্ছে। অনুমান ওই ছাত্র কী স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর ব্যাপারে কিছু জানাতে চেয়েছিলেন? যাদবপুর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ডঃ রজত রায়কেও ডেকে পাঠানো হয়। ডিন অব স্টুডেন্টেস ছাড়াও হস্টেল সুপার তপন কুমার জানা, বাংলা বিভাগের প্রধান জয়দীপ ঘোষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version