পেশাগত পরিচয় পত্র না থাকলে এবার থেকে আর কোনও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ও সহায়তা পাবেন না মৎস্যজীবীরা, এমনটাই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে গিয়েছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা। আর সেই অনুযায়ী পরিচয় পত্র প্রদানের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত একবার লাগু হয়ে যাওয়ার পর তা কড়াভাবে মেনে চলা হবে।

মনে রাখতে হবে রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষের রুটিরুজি মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারমধ্যেও দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে প্রচুর মৎস্যজীবীর বাস। এই জেলাগুলির অর্থনীতির একটা বড় অংশের সঙ্গেও জড়িত মৎস্যজীবীরা। সেক্ষেত্রে পরচয় পত্র না থাকার কারণে যদি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন বহু মানুষ।

Purba Medinipur News : মৎস্যজীবীদের জন্য ‘আদর্শ গ্রাম’ ঘোষণা মন্ত্রীর, থাকবে স্কুল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ সমস্ত সুবিধা
এই প্রসঙ্গে জানা যা যাচ্ছে, শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুরেই গত ৯ মাসের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মৎস্যজীবীকে পরিচয়পত্র দিয়েছে জেলা মৎস্য দফতর। খুব তাড়াতাড়িই বাকিদেরও পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা বনস্পতি বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মৎস্যচাষি, মৎস্যশ্রমিক ও মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই কারণেই মৎস্যজীবীদের ‘ফিশারম্যান রেজিস্ট্রেশন’ বা ‘মৎস্যজীবী নিবন্ধীকরণ’ অবশ্যই প্রয়োজন। জেলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারের কিছু বেশি মৎস্যজীবীকে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে যে সমস্ত মৎস্যজীবীর পরিচয়পত্র থাকবে, শুধুমাত্র তাঁরাই মৎস্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় যে সমস্ত মৎস্যজীবীর পরিচয়পত্র থাকবে না, তাঁদের আর কোনওভাবেই মৎস্য দফতরের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পগুলির সহায়তা প্রদান করা হবে না। তাই জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেলার সমস্ত মৎস্যজীবীকে পরিচয়পত্র প্রদান করতে চাইছে জেলার মৎস্য দফতর।

Hilsa Fish : মৎস্যজীবীদের জলে ২ কেজির মস্ত ইলিশ! কত টাকায় বিক্রি হল জানেন?
কোথায় আবেদন করতে হবে?
পরিচয় পত্রের জন্য মৎস্যজীবীরা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় মৎস্য দফতরের জেলা অফিসের পাশাপাশি ব্লক অফিসগুলিতেও আবেদন করতে পারেন। অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও এই বিষয়ে জেলা মৎস্য দফতরে যোগাযোগ করতে পারেন মৎস্যজীবীরা। এছাড়াও মৎস্য দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিছুদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে সপ্তম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। সেক্ষেত্রে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়েও মৎস্যজীবীরা তাঁদের পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত পঞ্চম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির শিবির থেকেও মৎস্যজীবীদের পরিচয় পত্র প্রদানের প্রক্রিয়া চালানো হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version