মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধ লিখতে হবে। এনএমসি-র এহেন নির্দেশের কড়া বিরোধিতায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(আইএমএ)। জেনেরিক ওষুধের গুণমান নিয়ন্ত্রিত নয় দেশে। ভারতে প্রস্তুত মাত্র ০.১% জেনেরিক ওষুধের গুণমান যাচাই করা হয়। ফলে চিকিৎসকের হাত থেকে ব্র্যান্ডেড ওষুধ লেখার অপশন বা সুযোগ একেবারেই কেড়ে নিলে রোগীস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। এমনটাই মনে করছে আইএমএ।

আরও পড়ুন- বিপুল টাকা নয়ছয়ে দোষী সাব্যস্ত, ৬ মাসের জেল জয়াপ্রদার

রোগীরা জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার করুক- এনএমসি এবং কেন্দ্র সরকার যদি এমনটাই চায়, তাহলে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাদের সবাইকে ব্র্যান্ডেড ওষুধ না বানিয়ে জেনেরিক ওষুধ বানাতে বলছে না কেন? প্রশ্ন তুলেছে আইএমএ। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে অবিলম্বে জেনেরিক ওষুধ নিয়ে এনএমসির রেগুলেশনকে পিছিয়ে দেওয়া এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি জানাল আইএমএ-র কেন্দ্রীয় শাখা।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর গুণমান। এ ব্যাপারে আমাদের দেশের পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। তাই গুণমান যাচাই না করে তা রোগীকে দেওয়া খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। দেশে মাত্র ০.১ শতাংশ জেনেরিক ওষুধের গুণমান যাচাই করা হয়। তাই জেনেরিক ওষুধ লেখার যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা আপাতত স্থগিত রাখা হোক। সরকার ওইসব ওষুধের গুণমান সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই একমাত্র তা ব্য়বহার করা উচিত। রোগীর নিরাপত্তাকে অবহেলা করা যায় না।

আইএমএর তরফে আরও বলা হয়েছে, জেনেরিক ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটিগোরি ভাগ করেছে সরকার। বাজারে চলছে ব্রান্ডেড, ব্রান্ডেড জেনেরিক ও জেনেরিক ওষুধ। এর ফলে ফার্মা কোম্পানিগুলি একই ওষুধ বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে। এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। জেনেরিক ওষুধ চালু করার আগে এর গুণমান নিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন বরাবরই দাবি করে আসছে, ভালো মানের ওষুধ গোটা দেশে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সেই ওষুধের দামও গোটা দেশে একই হবে। আইএমএর সরকারে কাছে আবেদন করেছিল, ‘এক ওষুধ, একই মান, এক দাম’ নিয়ম চালু করতে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version