Pre Independence History: ব্রিটিশ আমলে যে রানওয়েতে নামত প্লেন, সেখানে এখানে গোরুর খাটাল। গুপ্তকক্ষ স্বাধীনতার সময়ের গুপ্তধনের বদলে এখন গোবরের ঢিবিতে ঢাকা। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে স্বাধীনতার সময়ের নানা ইতিহাস। তবে অবহেলায় সংরক্ষণের অভাবে রীতিমতো নষ্ট হতে বসেছে এই প্রাচীন ইতিহাস।

ঐতিহাসিক স্থানে বর্তমানে গড়ে উঠেছে গোরুর খাটাল। জঙ্গলে ঢেকেছে আশপাশ। এলাকাবাসীরা চাইছেন দ্রুত সংস্কার করে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক এই ঐতিহাসিক স্থল গুলিকে। পর্যটন মানচিত্র যাতে জায়গা পায় এই স্থানগুলি তারও আবেদন জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্রিটিশ আমলে অশোকনগর ছিল একটি রয়াল এয়ারপোর্ট স্টেশন বা বিমান ঘাঁটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ইংরেজ আমলের এই এয়ারফিল্ড, ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় হয়ে ওঠে উদ্বাস্ত কলোনি।
Ashokenagar Kalyangarh Municipality : বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্যে! কড়া ব্যবস্থা অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার

পূর্বে এই শহর হাবড়া আরবান কলোনি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এর উত্তর পূর্ব অংশের নামকরণ করা হয় কল্যাণগড় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের নামকরণ করা হয় অশোকনগর। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী অশোকনগর কল্যাণগড় এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। যুদ্ধবিমান ওঠা নামার জন্য বানানো হয়েছিল রানওয়ে। বর্তমান অশোকনগরের গোলবাজার থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত গেলে এখনো দেখা যায় সেই রানওয়ের অংশবিশেষ। শুধু তাই নয় এই অশোকনগরের মিলেনিয়াম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মাটির নিচে একটি গুপ্ত কক্ষ খুঁজে পাওয়া যায়।
Dengue Fever : ড্রেনে উপচে পড়ছে প্লাস্টিক-আবর্জনা! হাবড়ায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ

জানা যায়, এই গুপ্ত কক্ষেই রাখা থাকতো যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলাবারুদ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় উদ্বাস্তু নগরী হিসেবে রূপ নেয়া অশোকনগর। স্বাধীনতার ইতিহাসের নানা সাক্ষ্য বহন করলেও তা সংরক্ষণের যথেষ্টই অভাব রয়েছে বলে মনে করেন অশোকনগরবাসীরা। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন গরুর ঘাটাল সহ জঙ্গল পরিষ্কার করে দ্রুত হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক ঐতিহাসিক ব্রিটিশ আমলের সেনা ছাউনি অশোকনগরের এই স্থানকে। যদিও জানা গিয়েছে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্যোগে এই ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে নিয়ে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কতটা সংরক্ষণ করা স্বাধীনতার ইতিহাস বহন করা এই বিমান ঘাঁটির ধ্বংসাবশেষকে। স্বাধীনতা দিবসের আগে আবারও ইতিহাসের গায়ে পড়া কালি মুছে তাকে ফের নতুন রূপ দেওয়ার ভাবনা। এলাকার ইতিহাসকে সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version