স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালায় এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমায় সবাই জিজ্ঞাসা করল কী নাম হবে, আমি প্রথম বক্তা ছিলাম, বললাম ইন্ডিয়া (INDIA)। আর এবার বলছে (নরেন্দ্র মোদী) ক্যুইট ইন্ডিয়া।’ আগামী লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটই জয়লাভ করবে বলে এদিন ফের একবার দাবি করেন মমতা। উপস্থিত জনতাকে কার্যত শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ অগাস্ট যেন টিম ইন্ডিয়া লালকেল্লায় পতাকা তুলতে পারে।’
এদিনের সভা থেকে স্বভাবগত ভঙ্গিতে বেশকিছু ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকিটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটা করোনার সার্টিফিকে, সেখানেও ছবি। আর কত? করোনার সময় কেন্দ্রের কোন মন্ত্রী এসেছিল, আর কত শাক দিয়ে মাছ ঢাকবে? ৬ মাস রেশন দিয়েছিল, তাও সবাইকে নয়। যার বাড়িতে একটা সাইকেল আছে তাকে দেবে না। অনেক সময় মানুষ আমাদেরকে ভুল বোঝেন। প্রশ্ন করেন, কেন বিধবা ভাতা পাচ্ছি না? আরে কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখলে কী করে পাবেন?’
বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর প্রেক্ষিতেও এদিন সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘বাংলায় ১৬০টি টিম পাটিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হয়েছে, ক’টা দল পঠিয়েছে, কুস্তিগীরদের ওপরে আক্রমণ হয়েছে, ক’টা দল পাঠিয়েছে, রাজস্থানে অত্যাচার হয়েছ, ক’টা দল পাঠিয়েছে? রোজ একটাই স্লোগান, হিংসা। কোথায় হিংসা? এত মিথ্যা কথা বলে, তাও আমার লড়ে য়াই, কারণ আমার জানি আমরা লড়লে আপনারা আছেন।’ নাম না করে এদিন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একজন অভিনেত্রী টিভিতে কেঁদে ফেলল। আমি পুলিশকে বললাম, স্পটে গিয়ে খোজ নাও। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম কিছু হয়নি।’ অন্যদিকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আপনি রাজ্যপাল, আপনাকে সম্মান করি, রাজার পাট করুন, প্রজার পাট করবেন না।’