স্বাধীনতা দিবসে রক্ত ঝরল রেল শহর খড়্গপুরে। একদা বাসব রামবাবুর ঘনিষ্ঠের ওপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাজেশ গুপ্তা ওরফে কালা রাজেশের বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তির নাম কে শিবা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেল শহর খরগপুরে।

স্বাধীনতা দিবসের দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় একদা রামবাবু ঘনিষ্ঠ শিবার ওপর ক্ষুর জাতীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ কুখ্যাত দুষ্কৃতী কালা রাজেশের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে এদিন দুপুরে খড়গপুর শহরের জয় হিন্দ নগর সংলগ্ন ভূতলা চক এলাকায় বাজারে গিয়েছিল কে শিবা। ঠিক সেই সময়ই ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, কে শিবার গলায় কোপ পড়েছে অস্ত্রের অস্ত্রের।

Rambabu Kharagpur : রামবাবু কেন খালাস, হাইকোর্টে শ্রীনুর স্ত্রী
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো বিবাদের জেরেই এই হামলার। তবে কী নিয়ে বিবাদ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে শিবার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে থেকে ফোনেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর মঙ্গলবার সকালে ঘটে যায় এই ঘটনা। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রেল শহরজুড়ে। সূত্রের খবর, ঘটনার পরই রেল শহরের মালঞ্চ থেকে পাকড়াও করা হয় রাজেশ গুপ্তা ওরফে কালা রাজেশকে।

প্রসঙ্গত, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতীতেও বারেবারে রক্তাক্ত হয়েছে খড়গপুর। এর আগে গত জুন মাসে রেল শহরের এক সময়ের ‘ডন’ শ্রীনু নাইডুকে খুনের ঘটনায় বেকসুর খালাস হলেন এক সময় খড়গপুরে ‘ত্রাস’ বাসব রামবাবু। শ্রীনু নাইডু খুনের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল আগেই। জুন মাসের শেষে মামলার রায়দান করে আদালত। রায়ে চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত রামবাবু-সহ ১৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দেয়।

Bardhaman News : খুনের অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশ, হাসপাতালে আউশগ্রামের আইসি-সেকেন্ড অফিসার
২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়গপুরের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়েই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন শ্রীনু নাইডু। খান হন তাঁর এক সহযোগীও। গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দেওয়া হয় তাঁদের। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরেরই ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের তানুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় রামবাবুকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় মেদিনীপুর আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট। বাসব রামবাবু-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। সেই মামলাতেই শেষ পর্যন্ত বেকসুর খালাস পেলেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version