দুর্ঘটনা লক্ষ্য করে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। আহত পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাদের পরিবারের লোককে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আহত ছাত্রদের বাড়ির লোক এসে তাদেরকে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। গাড়ির চালকের কোনও ত্রুটি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেহালায় খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের মৃত্যুর ঘটনা আজও দগদগে সকলের মনে। বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় ডায়মন্ড হারবার রোডে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হয় খুদে পড়ুয়া। তারপর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বেহালার পরিস্থিতি। এরপর কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় গতি কমিয়ে যান চলাচল করানো হয়। আলিপুর এবং ঠাকুরপুকুরগামী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু করে পুলিশ।
এখানেই শেষ নয়, বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন ব্যস্ত ডায়মন্ড হারবার রোডে একাধিক জায়গায় ড্রপ গেট এবং ব্যারিকেড বসানো হয়। ফুটপাথ এবং রাস্তার সংযোগস্থলে যে জায়গা দিয়ে পথচারীরা রাস্তা পারাপার করেন, সেই জায়গাতে এই ড্রপ গেট লাগানো হয় পুলিশের তরফে। এরপরেই কলকাতা পুলিশ নির্দেশিকা জারি করে কলকাতার রাস্তায় পণ্যবাহী যান চলাচলের ব্যাপার। সকাল ছয়টার পর পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করা হয়।
কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে জেলা পুলিশ। এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করা হয় পুলিশের তরফে। এরপরেও এদিনের ঘটনায় এবার আতঙ্কিত পুলকার করে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো অভিভাবকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কিছুদিন আগেই বেহালায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটল। এরপরেও গাড়ির চালকদের অনেকটা সচেতন হয়ে গাড়ি চালানো উচিত।