পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে বিপত্ত। মৃত্যু এক মহিলার। গুরুতর আহত আরও একজন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে।

জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ, জোড়াবাগান থানা এলাকায় কলকাতার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে ভেঙে পড়ে একটি পুরনো ৫ তলা বাড়ির তিনতলার একাংশ। সেটি ভেঙে পড়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরের উপরে। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন আগরওয়াল পরিবার। স্বামী স্ত্রী ও নাবালক পুত্র ভাড়া থাকতেন।

এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জোড়াবাগান থানার পুলিশ, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে ইলরা আগরওয়াল, অজয় আগরওলায় ও তাঁদের নাবালক পুত্রকে উদ্ধারকরে কলকতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়। সেখানে ইলরা আগরওয়ালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা চলছে অজয় আগরওয়ালের। তাঁর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আজ তাঁর বেশকিছু অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শিশু পুত্র এখন স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে ওই বাড়িতে আরও বেশকিছু ভাড়াটে পরিবারও বাস করত। গতকালের দুর্ঘটনার পর তাদেরও নিরাপদে দ্রত বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়।

New Town Accident Today : ‘বারবার ফোন আসছিল…!’ কানে মোবাইল, ডিভাইডারে পুলকার তুললেন চালক
জানা যাচ্ছে, অনেক আগেই ওই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরেও সেই বাড়িতে বসবাস করছিল পরিবারগুলি। সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বাকি পরিবারগুলিতে ওই বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়ে। বাড়িটিতে আরও বেশকিছু বিপজ্জনক অংশ রয়েছে। সেগুলি আজই ভেঙে ফেলা হবে পলেই জানা যাচ্ছে।

Nadia News Today : বাস ও গাড়ির সংঘর্ষে নদিয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা! মৃত ২, আহত একাধিক
প্রসঙ্গত প্রায় প্রত্যেক বর্ষাতেই শহর কলকাতায় পাওয়া যায় এই ধরণের খবর। কোথাও না কোথাও ভেঙে পড়ে পুরনো বাড়ি। অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভা বিপদ এড়াতে আগেভাগে পদক্ষেপ করে। পুরনো বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রয়োজনে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয় বাড়িগুলিকে। কিন্তু তারপরেও অনেক জায়গাতেই দেখা যায়, পুরসভার নির্দেশকে কার্যত অমান্য করেই সেই বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে বসবাস করেন বাসিন্দারা। আর তার জেরেই বিভিন্ন সময় ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যেমনটা এই বাড়ির ক্ষেত্রেও আগে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই বাড়িতে বসবাস করছিল বেশকিছু পরিবার। আর তারমধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল ওই মহিলার। এখন দেখার বিপজ্জনক বাড়িগুলি খালি করতে আরও কোনও কড়া পদক্ষেপ করে কি না পুরসভা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version