শনিবার চুঁচুড়ার একটি শপিং মলে নতুন ভোটারদের নাম তুলতে বিশেষ শিবিরের আয়েজন করা হয়। সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, সদর মহকুমা শাসক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়, ওসি ইলেকশান অমৃতা বর্মন রায়, বিডিও মগড়া প্রিয়াঙ্কা বালা, আইসি চুঁচুড়া অনুপম চক্রবর্তী-সহ পুলিশ-প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকরিকরা। প্রথম যাঁদের নাম উঠবে ভোটার তালিকায়, তাঁদের অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করানো, ফর্ম বিলি করার পাশাপাশি কয়েকজন নতুন ভোটারের হাতে ই-এপিকও তুলে দেওয়া হয়। করা হয় সেলফি জোন, যেখানে দাঁড়িয়ে এপিক নিয়ে সেলফি তুলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে পারেন নতুন ভোটাররা। প্রসঙ্গত, হুগলিতে শতায়ু ভোটারের সংখ্যা তিনশোরও বেশি।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া জানান, বুথ স্তরে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন। খোঁজ নিচ্ছেন কাদের বয়স সতেরো হয়েছে। তাদের এখন থেকেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। শেষ নির্বাচনে হুগলি জেলায় ৩২৭ জন শতায়ু ভোটার ছিলেন। সেই তালিকায় আরও কতজন যুক্ত হলেন, বা কারও নাম বাদ গেল কি না,সেই হিসেবটাও রাখছেন বিএলওরা। পাশাপাশি প্রত্যেক নতুন ভোটারের যাতে তালিকায় নাম ওঠে, তার জন্য এই ধরণের জনবহুল জায়গায় বিশেষ শিবির করা হচ্ছে। হুগলি জেলায় এই মুহুর্তে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ২৭০ জন।
প্রসঙ্গত, দেশের নাগরিক হিসেবে কোনও মানুষের অন্য়তম প্রমাণপত্র হল ভোটার কার্ড। আর ভোটদানের ক্ষেত্রে এই কার্ডের অবশ্য প্রয়োজনীয়। যেহেতু ভোটদান একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, তাই সেই প্রক্রিয়ায় সামিল হতে প্রত্যেকের ভোটার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। সামনের বছরই দেশে লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে তার আগে যাতে নতুন ভোটারদের নাম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য এই বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।