পাহাড় চড়া তাঁর নেশা। পর্বতশৃঙ্গ ছুঁয়ে দেখার টান আর জেদ। দুইয়ের সম্বলে সুদূর আফ্রিকার Mount Kilimanjaro জয় করলেন বঙ্গতনয়া লক্ষ্মী ঘোষ। তাঁর সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা পরিবারের সদস্যরা। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, আগামী দিনে দেশ বিদেশের আরও পর্বতশৃঙ্গ জেতার লক্ষ্য নিয়েছে লক্ষ্মী।

Brammah 1 Peak Mountaineering: অসাধ্য সাধন বাঙালির! প্রথম ভারতীয় হিসাবে ব্রহ্মা ১ শৃঙ্গ জয় সোনারপুরের ৯ যুবকের
‘যব তক তোরেগা নেহি, তব তক ছোড়েগা নেহি বাঙালি মেয়ের জেদের কাছে হার মানতে হল দুর্গম পাহাড়কেও। ৩২ বছরে হাবড়ার লক্ষী ঘোষ জয় করলেন আফ্রিকার তানজানিয়ার সুউচ্চ পর্বত মাউন্ট কালিমাঞ্জারো। ৫৮৯৫ মিটারের এই দুর্গম পথ অতিক্রম করে অবশেষে মিলল সাফল্য। এত কম বয়সে বাঙালি মহিলা হিসাবে জয় করলেন মাউন্ট কালিমাঞ্জারো।

Mountain Climber : ৩৭ বছর পর মৃতদেহ উদ্ধার পর্বতারোহীর! এ ভাবে কখনও কি মিলবে ছন্দার দেহ
যদিও শুরু থেকে তাঁর চলার পথ ততটা মসৃণ না ছিল না। মানসিক শক্তি ও জেদের কাছে সমস্ত বাধাই অনাসে কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষী। জানা যায়, ২০১১ সালে শ্রীচৈতন্য কলেজে এনসিসি করার সুবাদে এবং পরে ৪ দিনের পুরুলিয়ায় রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের কোর্স করতে যাওয়া থেকে শুরু এই পথ চলা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে পাহাড়ের প্রতি জন্মায় ভালোবাসা।

Mountain Expedition In India : ৪৩ বছর পর পাহাড় চূড়ায় লেখা হল ইতিহাস, ব্রহ্মা পর্বত জয় সত্যরূপ সিদ্ধান্তের
আবারও ২০১২ সালে এডভান্স কোর্স তারপর দার্জিলিং এর মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পাহাড় চড়ার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্মীর শুরু হয় পাহাড় যাত্রা। পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা সবাই যেন লক্ষ্মীর পাশে থেকে মানসিক শক্তি যুগিয়েছে তাকে। সাধারণ ঘরের এই মেয়ের সাফল্যে যেন আজ তারাও উচ্ছ্বসিত। জেদ করেই আফ্রিকার তানজিনিয়ায় পাহাড় জয়ের যাত্রা নিয়ে হঠাৎই বাড়ি থেকে রওনা দেন বছর ৩২ এর লক্ষী ঘোষ।
তেমনভাবে প্রস্তুতি না থাকলেও, শরীরচর্চা ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি নিজের মধ্যেই তৈরি করতে থাকেন বাঙালি এই মেয়ে। আজ পাহাড় জয় করে ফিরে যেন সাফল্যের হাসি লক্ষীর মুখে। এবার লক্ষ্য এভারেস্ট। পাহাড় জয়ের নেশা যেন আরও চেপে বসছে এই মেয়ের চোখে মুখে। মা সীমা ঘোষ চাইছেন মেয়ের পাহাড় জয়ের সব ইচ্ছা পূরণ হোক।

Mountaineer Piyali Basak: ‘অক্সিজেন ছাড়াও ৮ হাজার মিটার থেকে বেঁচে ফিরেছি’

লক্ষীর সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও। মেয়ে পাহাড় জয় যাওয়ার পর থেকেই কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ছিলেন মা, এদিন মেয়ে ঘরে ফেরায় যেন চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। মেয়েকে কাছে পেতেই জড়িয়ে ধরতেও দেখা গেল লক্ষ্মীকে। আগামী দিনে আরও সফল হোক লক্ষ্মী চাইছেন প্রতিবেশীর থেকে এলাকাবাসীরা সকলেই। অনেকেই আজ লক্ষীকে দেখার জন্য আসছেন বাড়িতে, শুনছেন পাহাড় জয়ের অভিজ্ঞতা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version