ঠিক কী বললেন মদন মিত্র?
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী যাদবপুরে ঘটনা প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, ‘আমরা যদি এই কাজ করতাম রাস্তায় বেরোতে পারতাম না, লোকে থুতু দিত! কতবড় বিকৃত মানসিকতা, কোনও মায়ের লাল নেই আটকাবে, সিসিটিভি লাগবেই। মদনের প্রশ্ন, যাদবপুর কি আলাদা রাষ্ট্র? দেখলাম শুভেন্দু পুলিশকে গালাগালি দিচ্ছে। কোথায় সেন্ট্রাল এজেন্সি? কোথায় আপনাদের ২০ সদস্যের কমিটি? কোথায় স্মৃতি ইরানি? এতবড় ঘটনারও পরেও সবাই চুপ? কী নোংরামো করেন ওখানে? আছে তো ২৫টা লোক। তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায় গঙ্গায়।’
মদন মিত্র মনে করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসীম ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন, কেউ লজ্জায় যাদবপুরের নাম বলতে পারছে না, এরা রাস্তায় বেরোতে পারবে না, ছাদে উঠতে পারবে না, শকুন ঠোকরাবে। মিডল ফিঙ্গার? দরকার হলে মিলিটারি নামিয়ে বেআইনি বহিরাগতদের গর্ত থেকে বের করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মেয়েদের বিবস্ত্র করে, তারপর হাল্লাবোল বলে মিছিল তোলে, তাহলেও আমি আশ্চর্য হব না।’
প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে অশ্লীল ইঙ্গিত করতে দেখা গিয়েছে। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গ্রেফতারির পরও কী ভাবে আসে এত ঔদ্ধত্য?
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই হস্টেলে নবাগত পড়ুয়াদের থেকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র ও প্রাক্তন ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নবাগতরা হস্টেলে পা রাখার পরেই তাঁদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নেওয়া হত। সেক্ষেত্রে যে পড়ুয়ার পরিবার যত বেশি স্বচ্ছল, তাঁর থেকে টাকা চাওয়ার পরিমানও ততটাই বাড়ান হত। তৈরি হত নবাগতদের তালিকা। সেই তালিকাতেই থাকত, কোন পড়ুয়ার পরিবার থেকে কত টাকা চাওয়া হবে। এমনকী দাবি মতো টাকা না দিলে, হস্টেলে থাকতে না হেওয়ার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে দিতে হত টাকা। এছাড়া সিনিয়রদের ফাইফরমাশও খাটার অভিযোগ তো রয়েইছে।