Siliguri-তে স্কুল ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। যৌন নির্যাতনের চেষ্টায় বাধা দেওয়ার কারণেই ওই ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। ধৃতের নাম মহম্মদ আব্বাস। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তার তদন্ত করছে পুলিশ।

Siliguri Student Murder Case: স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল শিলিগুড়িতে, বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল মাটিগাড়া থানার পুলিশ। মাটিগাড়া লেনিন কলোনি এলাকার বাসিন্দা ধৃত যুবক। সোমবার বিকেলে মাটিগাড়ায় খাপরাইল মোড় এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জমিতে স্কুল ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়। ইট দিয়ে মেরে খুন করা হয় ছাত্রীকে।

Siliguri Bus Stand : পুজোর আগেই নয়া বাসস্ট্যান্ড পেতে পারে শিলিগুড়ি, বেসরকারি বাস চলবে?
দেহ দেখে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় মাটিগাড়া থানার পুলিশ। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী একটি নেপালি মাধ্যম স্কুলে পড়তো। সোমবার স্কুলে যায়। এরপর স্কুল ছুটির পর বের হয়। কিন্তু আর বাড়ি যায়নি। বিকেলে খাপরাইল মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি জমিতে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর তদন্তে নামে মাটিগাড়া থানা, এসওজি ও গোয়েন্দা বিভাগ। রাতে এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ।

Bengal Safari Park Tour : বেঙ্গল সাফারি পার্কে শোকের ছায়া! নয়া সদস্যের অকাল মৃত্যুতে &amp#39;হতাশ&amp#39; কর্তৃপক্ষ
রাতে মাটিগাড়া থানায় যান ডিসিপি, এসিপি ও এডিসিপি। থানায় ছাত্রীর পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ কর্তারা। এরপর মাটিগাড়া এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করা পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটজে দেখতেই পুলিশ এক জায়গায় স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে দেখা যায়। এরপরই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। মাঝরাতে মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। মঙ্গলবার মাটিগাড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা। তিনি বলেন, ‘স্কুল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়। এরপর বাধা পেতেই ইট দিয়েই মেরে খুন করা হয় ছাত্রীকে। ধৃতকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেবে পুলিশ।’

Siliguri Municipal Corporation : ‘ইংরিজিতে ৯০ পাতা পড়বো কী করে’ প্রশ্ন তৃণমূল কাউন্সিলরের

যদিও স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে যুবকের পরিচয় কতোদিনের তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ মনে করছে বেশ কয়েকদিনের পরিচয়। খুনের পর এলাকায় ছিল অভিযুক্ত। এলাকা থেকেই তাকে ধরে পুলিশ। ওই ছাত্রীর সঙ্গে যুবকের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল কিনা তাও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্কুল ছাত্রীকে এভাবে হত্যার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত দোষীর শস্তির ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version