Mizoram Bridge Collapse-এর ঘটনা কেড়ে নিল Malda জেলার একই পরিবারের ছয়জনকে সদস্যকে। খবর আসার পর থেকেই বাড়ি জুড়ে কান্নার রোল। মিজোরামে রেলের ব্রিজের কাজের জন্য গিয়েছিলেন প্রত্যেকেই। তাঁদের উপার্জনেই পেট চলত পরিবারের সকলের। পুরুষশূন্য পরিবারের দুর্দশায় শোকাহত মালদার চৌদুয়ার গ্রাম।

Malda News : মিজোরামে সেতু বিপর্যয়ে প্রাণ গেল মালদার ২৩ জন শ্রমিকের, জেলা জুড়ে শোকের আবহ
‘আমাদের তো জায়গা জমি নাই গরিব মানুষ তাই কাজে গিয়ে টাকা রোজগার করে দুই কন্যা সন্তানকে লেখাপড়া বিয়ে দিব।’ মিজোরামে নির্মীয়মান রেল ব্রীজ-এর কাজ করতে যাওয়ার আগে নিজের দাদাকে এমনটাই জানিয়েছিল মৃত সাইদুর আলম। মিজোরামে রেল ব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাইদুর আলমের।

WB Panchayat Board : মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল BJP-র, পরাজিত তৃণমূল
একই সঙ্গে সাইদুরের পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হলো। মৃতদের প্রত্যেকের বয়স কুড়ি থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে। সম্পূর্ণ পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে ওই পরিবারটি বলে খবর। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয় জনের মৃত্যুর খবর মালদার পুখুরিয়া থানার কোকলামারী চৌদুয়ার গ্রামে। রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন গ্রামের কোনও বাড়িতেই জ্বলেনি উনুনও। দুপুর থেকে এই গ্রাম জুড়ে শুধু চলছে কান্নার রোল।
যদিও এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মালদার কমপক্ষে ২৫ জন শ্রমিকের মিজোরামের নির্মীয়মান রেল ব্রীজ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও অনুমান করছে প্রশাসনের একাংশ। দুর্ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশের বাড়ি রতুয়া ২ ব্লকের পুখুরিয়া থানার কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামে। এই গ্রাম থেকে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক মিজোরামে গিয়েছেন বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।

Malda Bamangola News : মালদায় মহিলা নিগ্রহের ঘটনা : মুখ্যসচিব সহ ৪ জনকে শোকজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
এছাড়াও মালদার ইংরেজবাজার , কালিয়াচক ব্লক থেকেও অনেক শ্রমিকেরা গিয়েছেন মিজোরামে। যেখানে এই নির্মীয়মান রেল ব্রীজ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মালদা শ্রমিকেরা। মৃত্যু হয়েছে তাদের নাম, সাইদুর রহমান (৩০), মোজাফফর আলী (৩০)। এরা সম্পর্কে দুই কাকাতো ভাই । ওয়াসিম শেখ (২০), সেবু শেখ (২০)। মৃত এই দুইজন প্রথম মৃত দুইজনের সম্পর্কে ভাইপো। আনসারুল শেখ (১৯) এবং মোশারফ শেখ(২০) মৃত এই দুইজন সাইদুর রহমানের ভাগ্নে।

Independence Day 2023 Video : স্বাধীনতার ৭৬! মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে গোটা গ্রাম!

মৃত সাইদুর রহমানের দাদা মহিদুর রহমান জানান, গ্রামে সেভাবে কাজ নেই। ভাইয়ের দুই মেয়ে সংসারটা অনেকটাই বড়। সেই ক্ষেত্রে কী করে সংসার চালাবে সেটাই প্রশ্ন হয়ে উঠেছিল। এলাকায় যা কাজ পাওয়া যায়, কাজের মান অনুযায়ী মজুরি অনেকটাই কম। ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মজুরি। এত পরিশ্রম তারপর মজুরি ঠিকমতো পাওয়া যায় না। যার জন্যই এই গ্রামের। সরকারের কাছে দাবি পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version