দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের ২১৭ নম্বর শিশু বিকাশ কেন্দ্র বা ICDS কেন্দ্রে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোনও নলকূপ নেই, এমনই অভিযোগ উঠেছে। ছোট ছোট শিশুদের বাড়ি থেকে জল এনে খেতে হয়। বর্তমানে বর্ষাকাল। চতুর্দিকে ডেঙ্গি থেকে নানা রকম রোগ হচ্ছে। এই অবস্থাতেও স্কুলের ছেলেমেয়েদের মিড ডে মিলের খাবার পুকুরের জলে রান্না হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাই কেন স্কুলের টিউবওয়েল নেই ও ছেলে মেয়েদের জল খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে জল আনতে হয় ও কোনও সময় জল শেষ হয়ে গেলে তারা জল খেতে পারেনা এই অভিযোগ তুলে ICDS সেন্টারে দিদিমণিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা।

WB School Teacher : শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে! নিন্দার ঝড় রাজবল্লভপুর স্কুলে
এই বিষয়ে ICDS সেন্টারের শিক্ষিকা প্রণতি খাটুয়া অভিভাবকদের নলকূপ না থাকার অভিযোগ মেনে নিলেও পুকুরের জলে রান্নার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর কোনও নলকূপ স্কুলে নেই। বছর দুই আগে স্কুলের কিছুটা দূরে নলকূপ বসলেও তা বহুদিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে। আমি এই বিষয়ে বারবার সবাইকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি’। আগামী দিনে বিষয়টি ফের কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস বলেন, ‘ICDS সেন্টারে নলকূপ বসানোর কাজ আমি খুব তাড়াতাড়ি শুরু করব’।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলের চালে কিলবিল করছে পোকা? শোরগোল সাগরপাড়ায়
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে ICDS সেন্টারের হাল বেহাল। কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘এই রকম কোনও খবর আমার কাছে এখনো আসেনি। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে’। স্থানীয় এক বাসিন্দা সুজাতা বর বলেন, ‘আমরা স্কুলের শিক্ষিকাকে বারবার বলেছি। খোলা আকাশের নীচে রান্না করা হয়। আমরা বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাই।

Birbhum News : নিত্যদিন দেরিতে স্কুলে ঢোকা! শিক্ষকদের বাইরে দাঁড় করিয়েই গেটে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা
বাচ্চারা ওই খাবার খেয়ে যে কোনও দিন অসুস্থ হতে পারে। কিন্তু অনেকবার বলার পর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। নলকূপের কথা তো ছেড়েই দিলাম, যে পুকুর থেকে জল এনে রান্না করা হয় সেটি যথেষ্ট নোংরা। পরিষ্কার করা হয়না। বাচ্চারা অসুস্থ হলে দায় কে নেবে’! অভিভাবকদের অভিযোগ, এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি সবসময় নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকে। শিক্ষাকেন্দ্র পরিণত হয়েছে গোয়াল ঘরে। শুধু তাই নয়, তাঁদের আরও অভিযোগ মিড ডে মিলের খাবারও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version