উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়াই লক্ষ্য! দাবি পূরণে বদ্ধপরিকর সদ্য নির্বাচিত BJP রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ ওরফে নগেন্দ্রনাথ রায়। তবে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে কি তিনি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের দাবি জানাবেন? গ্রেটার নেতার উত্তর, ‘রাজ্যসভা চালু হোক, তারপর বলব!’

Coochbehar Madan Mohan Temple : ময়নাকাঠের যুগচ্ছেদনে প্রস্তুতি শুরু, কোচবিহারে বড় দেবীর পুজোর পরম্পরা আজও অমলিন
তবে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি যদি পূরণ না হয় তাহলে তাদের স্ট্যান্ডপয়েন্ট জনগন ঠিক করবে বলে জানান তিনি। রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়ে কোচবিহারে ফেরার পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন গ্রেটার সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজ ওরফে নগেন্দ্রনাথ রায়।

Madan Mohan Temple : পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ, ফ্যাসাড লাইটে সেজে উঠবে মদনমোহন মন্দির
রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম কি কাজ করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে মহারাজ অনন্ত রায় বলেন, ‘মানুষের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটাই হবে। এনিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না।’ পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন মহারাজ অনন্ত রায় ওরফে নগেন্দ্রনাথ রায় নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।
উত্তরবঙ্গ ও অসমের একটা বড় অংশে অনন্ত মহারাজের প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনন্ত মহারাজের সাথে বিজেপির সম্পর্ক ভালো। আর যার বিভিন্ন নির্বাচনে ভালো ফল করে বিজেপি। গত ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচারে অংশ নিয়েছিল অনন্ত মহারাজ।

Cooch Behar News : সীমান্তে চলছে সেই পাচার! BSF-NCB-র যৌথ অভিযানে লাখ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার
আর এটা বুঝতে পেরেই অনন্ত মহারাজের সাথে সুসম্পর্ক করতে উদ্যোগী হয় তৃনমূল। এর আগে অনন্ত মহারাজের উদ্যোগে আয়োজিত চিলারায়ের জন্মদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মহারাজার আমন্ত্রনে কোচবিহারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃনমুল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে এসে অনন্ত মহারাজের সাথে দেখা করেছিলেন।

Ananta Maharaj in Cooch Behar : ‘সংসদে বলবো’! পৃথক কোচবিহার? ঝেড়ে কাশুন, বললো তৃণমূল

পাশাপাশি বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক মহারাজের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। এরপর অনন্ত মহারাজকে বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠায়। সেই পদে শপথ নেওয়ার পর কোচবিহারে ফিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে মিলিত হন। সেখানেই তিনি বলেন, এই এলাকার মানুষের প্রয়োজন পূরন করাই প্রথম কাজ।
এ নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ হবে না। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রেটার কোচবিহার নেতার অবস্থান নির্বাচনে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দলের তরফে পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি জেনে মেনে নেবে না, ফলত নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী নির্বাচনের আগে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version