ED Raid: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম। সংস্থার উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত। সেই সূত্র ধরেই সংস্থার বিভিন্ন অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইডি তল্লাশি ঘিরেই এবার নয়া বিতর্ক। সংস্থার তরফে পালটা ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ।

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির কর্মীদের অভিযোগ তল্লাশি চলাকালীন সংস্থার কাউকে না জানিয়ে বেআইনিভাবে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের অফিসের কম্পিউটারে একাধিক এক্সেল পাইলস ডাউনলোড করেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে লালবাজারের সাইবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে কোম্পানির কর্মীরা। ইডির বিরুদ্ধে লালবাজার সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর।
ED Raid: গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত? চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত ইডির

অভিযোগ, সোমবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকুর সূত্রে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল তল্লাশির পর বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন না জানিয়ে সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি অফিসাররা। তল্লাশি চালিয়ে যাওয়ার পর কর্মীরা দেখেন কম্পিউটারে ১৬টি অজানা ফাইল রয়েছে। কীভাবে ওই ফাইল ডাউনলোড তা তারা জানেন না বলে দাবি করেছেন।
Suvendu and Abhishek : ED প্রেস বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে শুভেন্দুর খোঁচা! ‘ED-র অফিসে কবে যাচ্ছেন?’ পালটা অভিষেকও

উল্লেখ্য, ২১ অগাস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে, কলকাতার লি রোডে রাতভর তল্লাশি চালান। এই তল্লাশির পরই প্রেস বিবৃতি দিয়ে ইডি দাবি করেছে, ‘বর্তমানে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অফিসার (CEO) তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রিল, ২০১২ থেকে জানুয়ারি, ২০১৪ পর্যন্ত পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক। ‘ ইডি-এর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি টুইট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Kalighater Kaku : কালীঘাটের কাকুর দফতরে ইডির হানা

ইডির ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ ছাড়াও দাবি করা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক যোগসূত্র রয়েছে ওই কোম্পানির। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ডিজিটাল তথ্য প্রমাণ সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যা কেসে বড় তথ্য প্রমাণ। সূত্রের খবর, ইডি-এর নজরে সংস্থার ১৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কনসালটেন্সি ফার্ম হিসেবে কাজের আড়ালে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এ কোনও বেআইনি লেনদেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version