এদিন নওশাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বলেন, ‘ এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দামাল ছেলেরা বোমা না বানালে বুথ দখল করবে কী ভাবে? বোমা মেরে ভোট কেন্দ্রে গোলমাল করবে কী ভাবে। আমি একটাই কথা বলতে চাই, এই ঘটনার NIA তদন্ত হোক। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোর শাসিত হোক।
নওশাদ এদিন আরও জানান, এখানে বাইরের জেলা থেকে মুর্শিদাবাদ থেকে এসে কর্মীরা এই বাজি কারখানায় কাজ করতো। অনেক শ্রমিকরা এখানে মারা গিয়েছে। রাজ্য সরকার যে গ্রিন বাজির কথা বলছেন, সেটার আড়ালে বোমা তৈরি করা হয় এই বাজি কারখানায় বলে দাবি করেন তিনি। শাসক দলের পৃষ্ঠপোষকতা এই বেআইনি বাজি কারখানা চলত বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, এই ঘটনার ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও সিআইডি টিম। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গতকাল রাতেই এই বাজি কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থ এসেছিল। সেই বারুদ ভাণ্ডার থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই বাজি কারখানা স্থানীয় আজিবর রহমান এবং সামসুল আলির নামে ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মধ্যে সামসুল আলির বাড়িতেই বাজি কারখানা ছিল বলে জানিয়েছেন অনেকে। এই সামসুল নিজে এলাকায় TMC কর্মী বলে পরিচিত ছিল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীর্ঘদিন ধরেই এই কারখানায় বাজি প্রস্তুত করা হতো। স্থানীয়দের অভিযোগ, এগরার ঘটনার পরেও লোকালয়ের মধ্যে এই বাজি কারখানা বন্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন এই বাজি কারখানার কথা জানত, তারপরেও কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
ঘটনার পরে এখনও পর্যন্ত ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের হিসেব অনুযায়ী সাত থেকে আটজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই বাজি কারখানায় বিস্ফরণের ফলে। আরও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন অনেকে।