ব্রিজ থেকে মালগাড়ির ওপর ছুঁড়ে ফেলা হল এক শিশুকে। মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। হাওড়ার ভট্টনগর রেল স্টেশনে মালগাড়ি চেকিংয়ের সময় দেহটি দেখতে পান রেল পুলিশের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই শিশু আদতে নদিয়ার চাপড়া খানা এলাকার কুকরিমালি প্রতাপ দিঘীর পাড় অঞ্চলের বাসিন্দা। খবর পেয়ে এদিন হাওড়ায় পৌঁছান ওই শিশুর মামা রফিকুল শেখ। তিনি জানান তাঁর বোন আসমানি শেখের সঙ্গে স্বামীর বনিবনা ছিল না। এরপর গত কয়েকমাস ধরে হৃদয়তুল্লা শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্ক হয়। গতরাতে আসমানী ও হৃদয়াতুল্লা ওই শিশুটিকে নিয়ে বের হয়।

Howrah Station : একরত্তিকে স্টেশনে ফেলে রেখে শিশুচুরির ‘প্লট’! হাওড়ায় আটক মা
রফিকুল জানান, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁর বোন ফোন করে জানান যে হৃদয়তুল্লা তাঁদের মারধর করে টাকাপয়সা ও গহনা কেড়ে নিয়েছে। তাঁর ছেলেকে তালিত স্টেশনের ব্রিজ থেকে মালগাড়ির ওপর ফেলে দিয়েছে। এমনকী তাঁকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পালাতে গিয়ে বোন জখম হন তাঁর বোন। এরপর আরপিএফ তাঁর বোনকে উদ্ধার করে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারনে অশান্তি সেটা এখনও জানা যায়নি।

জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে বর্ধমানের তালিত স্টেশন স্টেশনের ফুল ব্রিজ থেকে বাচ্চাটিকে চলন্ত মালগাড়ির মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয় মানুষরা মালগাড়িটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মালগাড়ি না থেমে বেরিয়ে চলে যায়। এরপর ভট্টনগর রেলস্টেশনে ট্রেনটি থামে। লিলুয়া থানার পুলিশ চাপড়া থানায় যোগাযোগ করছে এবং মৃতের বাড়িতেও খবর দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ।

Dakshin 24 Pargana News : জমি নিয়ে বিবাদের জের? নরেন্দ্রপুরে ব্যক্তিকে মাথায় হাতুড়ি মেরে থেঁতলে খুন
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার নৃশংসতার শিউরে উঠছেন প্রত্যকেই। অভিযুক্তের খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে তারা তালিত স্টেশনে গিয়েছিল, বা সেখানে কোন বিষয়ে তাদের মধ্যে বচসার সূত্রপাত, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে অভিযুক্ত হৃদয়াতুল্লার অতীতে কোনও অপরীধের রেকর্ড রয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত শিশুর পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version