ISF হুমকি দিয়ে এলাকায় একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল, তাই পঞ্চায়েত এতদিন খোলা যায়নি, দাবি তৃণমূল উপ প্রধানের। এই অভিযোগ মিথ্যে, পালটা জানিয়েছে ISF। উল্লেখ্য, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে গত ১০ আগস্ট বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ফুরফুরার তালতলা হাট এলাকা।
বিক্ষুব্ধ মানুষ ও ISF এর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। দফায় দফায় ইট বৃষ্টি, বোমাবাজি হয় এলাকায়। তারপর থেকে পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল। আজ ১৯ দিন পরে পুনরায় খুলল পঞ্চায়েত। তবে ফুরফুরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃগাঙ্গ মোহন মাল বলেছেন, ‘বোর্ড গঠনের পর থেকে পঞ্চায়েত এতদিন খোলা যায়নি। আজ প্রথম খোলা হল। এতদিন পঞ্চায়েত খুলতে দেয়নি বিরোধীরা। মারধর করার হুমকি দিয়ে এলাকায় একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল ISF। পঞ্চায়েত খুললেই অশান্তি হবে। তাই এতদিন পঞ্চায়েত বন্ধ ছিল। তবে আজকের পর কি হবে তা বলতে পারছি না।’
সেই সঙ্গে উপ প্রধান আরও বলেন, ‘পঞ্চায়েত বন্ধ থাকার কারণে এতদিন জনগণের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল। আশা করা যায় এবার জনগণ পরিষেবা পাবেন।’ ISF-এর ফুরফুরা ব্লক সভাপতি আবু আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যে। ওরা জোর করে অবৈধ ভাবে বোর্ড গঠন করে, বেআইনিভাবে পঞ্চায়েত খুলেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ওরা মিথ্যে অভিযোগ ISF-এর উপর চাপাচ্ছে। তবে আমরা ভয় দেখালে বা বাধা দিলে আমরা আজকেই ভয় দেখাতে পারতাম। আমরা অশান্তি চাই না।’
ফুরফুরা পঞ্চায়েতের কর্মী কালীপদ হেমব্রম বলেন, ‘BDO-র নির্দেশে পুলিশের উপস্থিতিতে আজ পঞ্চায়েত খুলল, এতদিন পঞ্চায়েত বন্ধ ছিল বলে পরিষেবা বন্ধ ছিল।
ফলে মানুষ অনেক সমস্যায় ছিল। এরপর থেকে পরিষেবা দিয়ে আমাদের খুব ভালো লাগবে।’ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এর আগে এসেছিলাম পঞ্চায়েতে। অনেকবার ঘুরে গিয়েছি। একটা ইনকাম সার্টিফিকেট লাগবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ললিতা দাস বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সুবিধা নিতে পঞ্চায়েতে এসেছি। সবাই বলল পঞ্চায়েত খুলেছে তাই এলাম। অনকেদিন পর পঞ্চায়েতে এলাম, তবে পরিষেবা পাব কি না ঠিক নেই। কথা বলে দেখি পরিষেবা পাওয়া যাবে কি না।’