উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে টেটের ওএমআর শিটে হোয়াইটনার বোলানোর সন্ধান পেয়েছিল এসএসসি। এ বার ওএমআর রি-চেকের সময়ে ৬৪২ জন প্রার্থীর নম্বরই কমে গেল। তাঁদের টেট স্কোর কমে যাওয়ায় তাঁরা মেধা তালিকার বাইরেই চলে গিয়েছেন। যদিও রি-চেকের আগে এই প্রার্থীরাই ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন, ইন্টারভিউ দিয়েওছেন। বিকাশ ভবনের খবর, মেধা তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি এসএসসি বিশদ তথ্য ইতিমধ্যে আদালতে হলফনামা আকারে জমা দিয়েছে। কাল, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির কথা।
এর পাশাপাশি মেধা তালিকা প্রকাশের পর এক শ্রেণির প্রার্থীর টেট পরীক্ষার নম্বরও কমেছে। ওএমআর রিভিউয়ে দেখা যাচ্ছে, আরও কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর ২০১৬ সালের টেটে প্রাপ্ত নম্বর ও গত সপ্তাহে প্রকাশিত মেধা তালিকায় প্রাপ্ত টেটের নম্বরে ফারাক রয়েছে। যদিও তাঁদের নাম এখনও মেধাতালিকায় এমপ্যানেল্ড এবং ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে। ওএমআর রিচেকের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের টেট ওয়েটেজ কম গেলেও প্রাপ্ত মোট নম্বর কাট অফ মার্কসের উপর থাকায় এই পরিণতি বলে খবর। সেইসঙ্গে কিছু বিষয়ে শূন্যপদের ভিত্তিতে প্যানেল তৈরিতে ১০-র অনুপাতে ১৪ জনের মেধাতালিকার বিধি ভেঙেছে।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের বক্তব্য, প্রথম দফায় মেধা তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। তারপর আদালত অনিয়মের অভিযোগে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর প্যানেল বাতিল হয়েছিল। পরের বছর নতুন করে নথি যাচাই, রিজন হিয়ারিং এবং ইন্টারভিউয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। কিন্তু এর মধ্যে আমাদের নম্বর কমলো কী করে?
স্কুলশিক্ষা কর্তাদের বক্তব্য, বিচারপতি প্যানেল বাতিল করলেও ওএমআর রিভিউয়ের কোনও নির্দেশ দেয়নি। তবে ২০২২ সালের পুজোর আগে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ওএমআর দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর কমিশন কোনও ঝুঁকিই নিতে চায়নি। তাই ওএমআর রিভিউ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, যে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ হয়েছে, তাঁদের টেট নম্বর খতিয়ে দেখার পর প্রার্থীদের প্রাপ্ত মার্কসে মিস ম্যাচ বা গরমিল সামনে এসেছে। ওএমআরে নম্বর কমে যাওয়ার পর ইন্টারভিউ দিয়েও কারও প্যানেলে নামই নেই। আবার এমপ্যানেল্ড-ওয়েটিং লিস্টে কয়েকশো প্রার্থীর নাম থাকলেও আগের তুলনায় টেট স্কোর কমে গিয়েছে। যদিও এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সোমবার বলেন, ‘যথাসম্ভব নির্ভুল প্যানেলই আমরা প্রকাশের চেষ্টা করেছি।’