ভাজা রসগোল্লা ও লেডিকেনির কী পার্থক্য?
দেখতে লেডিকিনি ভেবে ভুল করলেও, লেডি কিনির সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে এই মিষ্টির। লেডিকিনি সাধারণত ছানার সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে তা ভেজে প্রস্তুত করা হয়, তারপর করা পাকের রসে চুবিয়ে প্রস্তুত হয়। মিষ্টির পরিমাণও বেশি থাকে এই লেডিকিনতে। তবে ভাজা রসগোল্লা কিন্তু একেবারে খেতে রসগোল্লার মতোই। বাইরের দিকে লালচে রং থাকলেও ভেতরে অংশ সাদা রসগোল্লার মতই নরম তুলতুলে। মুখে দিলেই গলে যাবে। ফলে খেতে পারবে আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষই। আর তাই রাখির স্পেশাল মেনুতে এবার জায়গা করে নিচ্ছে এই ভাজা রসগোল্লা।
কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি?
মেশিনের সাহায্যে তৈরি রসগোল্লার ডেলাকে বিশেষ পদ্ধতিতে কারিগররা ভেজে নিয়ে, রসে চুবিয়ে দিচ্ছেন। তারপরেই ভোজন রসিকদের পাতে যেতে প্রস্তুত মাত্র ৫ টাকা দামের এই ভাজা রসগোল্লা।
ইতিমধ্যেই বহু অর্ডার মিলছে এই কম মিষ্টির রসগোল্লার। স্বাস্থ্য সচেতন মহিলারাও এখন ঝুকেছেন এই ভাজা রসগোল্লার দিকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মিষ্টি হাব তৈরীর বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার ভাজা রসগোল্লা ভোজন রসিকদের মনে কতটা জায়গা করে নিতে পারে এখন সেটাই দেখার। তবে না খেলে বুঝতে পারবেন না এই ভাজা রসগোল্লার কামাল। আর এই বিশেষ মিষ্টি খেতে গেলে আপনাকে আসতেই হবে অশোকনগরে।