কী অভিযোগ জমিদাতাদের ?
দেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্পে ৬১৩ জন জমিদাতা অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন বীরভূম জেলা শাসকের দফতরে। ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে তাঁরা জমি দিলেও এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি তাঁরা বলে অভিযোগ। আর এই জন্যই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে অবস্থানে বসেন তাঁরা। চাকরির কোনও প্রতিশ্রুতি না মিললে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেন চাকরী প্রার্থীরা।
আগে কী ঘোষণা হয়েছিল?
এই Deocha Pachami coal প্রকল্পের জন্য আগেই পুনর্বাসন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনর্বাসনের জন্য দশ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। জমিদাতাদের যাতে কোনওভাবেই আর্থিক কোনও ক্ষতি সম্মুখীন হতে না হয় সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েই প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছিল।
জমিদাতাদের চাকরি প্রদান হয় প্রথম ধাপে?
এর আগে প্রথম ধাপে জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যোগ্যতা অনুযায়ী কয়লাখনি প্রকল্পে জমিদাতাদের মধ্যে মনোনীত সদস্যদের আগেই জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে গ্রুপ ডি পদেও চাকরি দেওয়া হয়। গত বছর ২৩৮ জনকে গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া ওই কয়লা প্রকল্পে যে সমস্ত জমিদাতাদের পরিবারের কোনও সদস্য ১৮ বছর অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তাদের প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা হয়।
এখন জমিদাতাদের একাংশের কী বক্তব্য?
এখন জমিদাতাদের বক্তব্য, আগের ধাপে অনেককেই চাকরি, আর্থিক সাহায্য দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ধাপে অনেকেই এখনও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি পাননি। এক জমিদাতা জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা ঘুরে যাচ্ছি জেলা শাসকের দফতরে। মাঝে দুবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। কিন্তু ৬১৩ জন জমিদাতাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমাদের বক্তব্য, হয় চাকরি দিন, না হয় এই কয়লা প্রকল্পের কাজ আমরা বন্ধ করতে বাধ্য হব। চাকরি সংক্রান্ত সঠিক প্রতিশ্রুতি না পেলে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়।