Susunia Hill এ চলছে দেদার বোমাবাজি! না, জনমানবের ক্ষতির জন্য নয়, বরং মানব জাতির কল্যাণে সবুজায়নের লক্ষ্যে। বীজ বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে পাহাড়ের ন্যাড়া অংশে। প্রথম পর্যায়ে বোমা তৈরি করে সফলতা মেলার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে বোমা তৈরিতে ব্যস্ত বন কর্মীরা।

Patachitra Painting : দেওয়াল জুড়ে নান্দনিক ক্যানভাস! শুশুনিয়ার কোলে মডেল হাউস পেলেন পটচিত্র শিল্পীরা
কোথায় বানানো হচ্ছে বীজ বোমা?

দিনে দুপুরে সরকারি অফিসে বানান হল ২০০ সিড বোমা। তবে এই বোমা যে সে বোমা নয়! এই বিশেষ বোমার বিস্ফোরণে পাহাড়ের রুক্ষ প্রান্তরে জন্মাচ্ছে নতুন গাছ। সবুজ হতে চলেছে পাহাড়ের ন্যাড়া অংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন!

Susunia Pahar : শুশুনিয়া পাহাড়ের বুকে একের পর এক ‘বোমা নিক্ষেপ’ খোদ বন দফতরের! কারণ জানলে চমকে যাবেন
প্রথম ধাপ সফল?

সাম্প্রতিক Bankura Susunia Hill এর পাথুরে ন্যাড়া অঞ্চলে বীজ বোমা ফেলা হয় পরীক্ষা মূলকভাবে। ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে প্রথম ধাপ। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুরে বন্ধ্যা অঞ্চল গুলিতে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট চারা গাছ। ছাতনা বন দফতরের ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিকের মস্তিষ্কপ্রসূত এই বীজ বোমা গুরুত্ব পাচ্ছে গোটা দেশে।

Susunia Forest : শুশুনিয়ার জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে তৎপর বন দফতর, বসছে ওয়াচ টাওয়ার- জলের রিজার্ভার
কতোটা কার্যকরী এই পদ্ধতি?

বিভিন্ন জায়গা থেকে রিকুইজিশন আসছে বীজ বোমা বানানোর। ঠিক এমনটাই জানাচ্ছেন ছাতনা ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক এশা বোস। তাই ছাতনা বন দফতরের অফিসে আরও ২০০ বোমা বানানো শুরু হল। এই সিড বোমা অঙ্কুরিত হলেই সেই বল আকারে তৈরি বীজ বোমা যে কোনও বন্ধ্যা জমিতে ছড়িয়ে দিলেই প্রাণ সঞ্চার সম্ভব। সাম্প্রতিক শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুড়ে ন্যাড়া অংশে বীজ বোমা ছড়ায় ছাতনা বন দফতর। ইতিমধ্যেই পাহাড়ের ওই রুক্ষ প্রান্তরে দেখা দিয়েছে চারাগাছ।

Susunia Hill News: দাউদাউ জ্বলছে জঙ্গল! সর্বনাশের নেপথ্য়ে কে?

কী থাকছে এই বীজ বোমায়?

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমাকৃতি ওই মন্ডতে থাকছে প্রচলিত গোবর সার, জৈব সার সঙ্গে আকাশমনি, বাবলা, শুয়াবিল গাছের বীজ মিশ্রিত জিনিস। এগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শুশুনিয়া পাহাড়ের রুক্ষ অঞ্চলে। আগামী দিনে এগুলো থেকেই মহীরুহ পরিণত হবে পাহাড় জুড়ে। পাহাড় জুড়ে আলাদা করে বৃক্ষরোপণ করাটা ব্যয় এবং সময় সাপেক্ষে। সেই কারণে এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।
Susunia Pahar পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি ভ্রমণ স্থান। তবে সবুজায়ন ছাড়া শুশুনিয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। শুশুনিয়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। নতুন করে বনানী তৈরির লক্ষ্যেই নতুন এই উদ্যোগ নেয় বন দফতর। বন দফতরের আশা পরের বছর এই সময় পর্যটকরা এলে পাহাড়ের ওই অংশটিকে সবুজে ভরা দেখতে পাবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version