মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরের যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম এই শীর্ষনেতা। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন কুণাল। ১২ সেপ্টেম্বর স্পেনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কুণালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চেয়েছে সিবিআই।
সারদা চিটফান্ড মামলা গ্রেফতারির মুখে পড়েন কুণাল। তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পরবর্তীকালে মামলা সিবিআইয়ের যাওয়ার পর দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন কুণাল। শেষমেশ ২০১৬ সালে তাঁর শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করে আদালত। সেখানে অনুমতি ছাড়া বিদেশ সফরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে কুণালের এই আবেদন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার আবেদন প্রসঙ্গে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘বিচারাধীন কোনও ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কীভাবে বেছে নেওয়া হল! অন্য কেউ কি ছিল না?’ সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘৫-৭ দিনের জন্য উনি যেতে চান। আপনারা আটকাচ্ছেন কেন?’ বিচারপতির এই প্রশ্নের পরই নিজেদের জবাবের জন্য সময় চেয়েছে সিবিআই। ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই স্পেন সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে সেদেশের শিল্পপতি ও বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা। একইসঙ্গে আগামী বছরে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আসার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে দুবাইতেও শিল্প বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে মমতার।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের অনুমতি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। আগে একাধিকবার চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট বা রোমের বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ এলেও মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে অনুমতি দেয়নি সাউথ ব্লক। কোনও মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সফরের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক বলেই। সেই কারণে এবার আগেভাগে নবান্নের তরফে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।