বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত দাসপলসা হাই স্কুল । স্থাপিত হয় ১৯৫৮ সালে । প্রথমে কয়েকটি কক্ষ তৈরি করে শুরু হয় পঠন-পাঠন । পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ার কারণে বাড়ানো হয় স্কুলের শ্রেণিকক্ষ । করা হয় দোতলাও । সেই স্কুল বিল্ডিংয়ের অবস্থাই এখন বিপজ্জনক । এমনকি বিল্ডিংয়ের নিচ ও উপরতলা মিলিয়ে মোট ছয়টি শ্রেণী কক্ষকে বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে । বর্তমানে এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৯৯২ জন। অন্যদিকে, শিক্ষক ও গ্রুপ ডি স্টাফ মিলিয়ে আছেন ১৪ জন। এরা প্রত্যেকেই রয়েছেন বিপদের আশঙ্কায় । যখন তখন স্কুল বিল্ডিং ভেঙে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
ছাত্র-ছাত্রীদের যেন কোন দুর্ঘটনার মধ্যে না পড়তে হয় তাই প্রতিনিয়ত তাদের ওপর নজরদারি রাখেন শিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি স্টাফেরা । স্কুলেরই পড়ুয়া প্রিয়াঙ্কা , রাহুলদেরও মনে বসে গিয়েছে দুর্ঘটনার আতঙ্ক । ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা কুন্ডুর কথায়, ‘স্কুল বিল্ডিং এর ভেতরে যাতায়াতের সময় যখন তখন ছেড়ে পড়ছে ঢালাইয়ের চটা । বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা হতে হতে বেঁচেছে আমার বন্ধুরা। ‘ এমনকী এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল দে। এমনকী তার মুখেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয়, যে কোন সময় প্রাণহানি হতে পারে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও । উপায় না থাকায় প্রাণভয়কে সঙ্গী করেই চলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান। তিনি বলেন, ‘স্কুল বিল্ডিংয়ের মোট ছটি রুমের এমন অবস্থা যে ওই দিক দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যখন বাথরুম যায় তখন আমাদের কাউকে ওদের ওপর নজর রাখতে হয় । এছাড়াও আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকারাও প্রতিনিয়ত থাকেন প্রাণভয়ে । যেন ওদিকে বেশি ছাত্রছাত্রীরা যেতে না পারে। এবং বিল্ডিংটার অবস্থা এমনই যে যে কোনও সময় গোটা ছাদ ভেঙে পড়তে পারে। ঘটনার কথা আমরা বিডিও ও এসআই-কে জানিয়েছি । এমনকি ডিএম অফিসেও এর রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে । আজ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ মহাশয়কে জানালাম। আমি চাই এই বিল্ডিংটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।’