এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভয়াবহ ঘটনা। জেলার জয়নগরে এ্যাসিড আক্রান্ত এক নার্স। আক্রান্ত নার্সের চিৎকারে অভিযুক্ত যুবককে এলাকার মানুষ হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্ত যুবককে পাঠানো হয় বারইপুর আদালতে। তাকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট থানার যুগদিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কর্মস্থল থেকে ট্রেনে চেপে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনে চেপে ফেরার সময় রাত দশটায় তিনি হোগলা স্টেশনে নামেন। ঠিক তখনই ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে তরল কিছু ছুড়ে দেয় এক যুবক। মহিলা তৎক্ষণাত মুখ ঘুরিয়ে নিলে অ্যাসিড এসে তাঁর পিঠে পড়ে। জ্বালা করতে শুরু করায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন।

Dakshin 24 Pargana News : দরজা খুলে রেখে ঘুম! শিশুকে খুনের হুমকি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে
মহিলার চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা ওই যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করে। যুবককে ধরে জয়নগর থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই জয়নগর থানার এসআই সায়ন ভট্টাচার্য ও তুহিন ঘোষ ঘটনাস্থলে আসেন। ওই যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। একইসঙ্গে অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলার চিকিৎসার জন্য তাঁকে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Murshidabad News Today : গাছে সজোরে ধাক্কা বাইকের, মুর্শিদাবাদে রাজ্য সড়কে ৩ যুবক স্পট ডেড
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পিঠের বেশ কিছুটা অংশ অ্যাসিডে পুড়ে গিয়েছে। আক্রান্ত নার্স এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ধৃত যুবকের নাম হাসিবুল মোল্লা। বাড়ি মগরাহাট থানার রামনগর এলাকায়। পুলিশি জেরার সে জানিয়েছে মহিলার মুখের দিকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়েছিল। ঠিক কী কারণে তা ছোড়া হল, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই মহিলার সঙ্গে যুবকের প্রেমের কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ অভিযুক্ত হাসিবুল মোল্লাকে বারইপুর আদলাতে পাঠানো হয়।

ATM Fraud: এটিএম-এ গেলে সাবধান! প্রতারণার নয়া ফাঁদে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটলেও হাতে পাচ্ছেন না গ্রাহক
আক্রান্ত নার্স বলেন, ‘আমি রাত দশটা নাগাদ ট্রেন থেকে ওই স্টেশনে নেমেছিলাম। একটা ছেলে তখন পিছন দিয়ে আমার উপর আক্রমণ করেছে। তরল জাতীয় কিছু আমার দিকে ছুড়ে মারে। অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছিল। পিঠে লাগতেই আমি চিৎকার করি। স্থানীয়া ওকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। থানা থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ঠিক কী কারণে হয়েছে আমি জানি না। আমি ওই ছেলেটাকে চিনি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version