ওই সব বড় রাস্তা লাগোয়া স্ট্রিট ও লেনগুলোতেও জল জমে গিয়েছিল। গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারেও গাড়ির গতি বেশ কিছুক্ষণ থমকে থাকে। ওই প্রতিটি রাস্তাতেই ব্যাপক যানজট হয়। মোটামুটি বিকেল সাড়ে ৩টে-সাড়ে ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা-সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই দুর্ভোগ চলে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে এক ঘনিষ্ঠের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ে খিদিরপুর এলাকার রাস্তায় জল জমা দেখে খানিকটা বিস্মিতই হন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের অবশ্য দাবি, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জল নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টির জেরে এ দিন চরম দুর্ভোগে পড়েন বেহালা থেকে ধর্মতলাগামী বাস ও গাড়ির যাত্রীরা। তারাতলা উড়ালপুলের পর ডায়মন্ড হারবার রোডে মেট্রো প্রকল্পের পিলার বসানোর কাজ চলছে। ইতিউতি সরঞ্জাম পড়ে থাকায় এবং রাস্তার একাংশ বেহাল থাকার কারণে নিত্যদিনই যানজট লেগে থাকে। তার উপর এ দিনের বৃষ্টির জেরে গাড়ির গতি আরও মন্থর হয়ে যায়। এ দিন বিকেলে বাসে বেহালা থেকে ধর্মতলায় পৌঁছেতে প্রায় দু’ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে বহু যাত্রী জানাচ্ছেন।
গুরুসদয় মোড় থেকে পার্ক সার্কাস মোড়ে পৌঁছতে এ দিন সময় লেগেছে এক ঘণ্টারও বেশি। উত্তর কলকাতাতেও যানজটের প্রায় একই ছবি ধরা পড়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি, বামেদের সমাবেশের জেরেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ সূত্রের খবর, বামেদের সমাবেশের কারণে পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইড মোড়, হেস্টিংসের পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস) থেকে গাড়িগুলো মেয়ো রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে মাত্র তিন ঘণ্টায় কালীঘাটে বৃষ্টি হয় ৮৭ মিলিমিটার। মোমিনপুর এলাকায় বৃষ্টি হয় ৭৬ মিলিমিটারের আশপাশে।