উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ার একাধিক অংশে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সামনে এসেছিল। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে করা হয়নি।

এদিকে শুক্রবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি সেখানে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গের লোডশেডিংয়ের সমস্যা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। এই প্রশ্নের জবাবে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের পুজো প্রস্তুতি চলছে। উত্তরবঙ্গে পুজোর আগে বৃষ্টি বেশি হয়। তার বদল হচ্ছে। ট্রান্সফর্মা বদল হচ্ছে। তা মাাইকিং করেই করা হচ্ছে। পুজোর জন্য এই সমস্য়াটা হচ্ছে।

WBSEDCL: দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, আজও কি ভোগান্তি?
অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যার জন্য প্রাক পুজা প্রস্তুতিকেই কারণ হিসেবে সামনে রেখেছেন তিনি। যদিও দক্ষিণবঙ্গেও জায়গায় জায়গায় কেন এই সমস্যা? তা প্রসঙ্গে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম থেকে শুরু করে উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদাতে গত দু’দিন ধরে লোডশেডিংয়ের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও এর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।

WBSEDCL Complaint : কেন বারবার রাজ্য জুড়ে লোডশেডিং? উত্তর দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু, ঠিক কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে সেই বিষয়টি আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়।” এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে লোডশেডিং সংক্রান্ত একই অভিযোগ উঠে আসছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা অনিন্দ্য মুদী বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত থেকে আমাদের এখানে ভোগান্তি শুরু হয়েছে। কোনও কাজ করতে পারছি না। ঘন ঘন লোডশেডিং। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।”

Wbsedcl Complaint Number : বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অভিযোগ জানাবেন কোথায়? রইল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম জেলার কাস্টমার কেয়ার নম্বর
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা কালিশঙ্কর সাহার কণ্ঠেও শোনা গেল একই কথা। তিনিও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তা আসে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ। এরপর ফের ভোরের দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারে বারে এই ঘটনায় বিরক্ত এলাকাবাসী।

বিষয়টি প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঝাড়গ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার মৌমিত মাজি জানান, বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে এই সমস্যা হয়েছে। কী কারণে বিদ্যুৎ ছিল না তা নিয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। লাগাতার এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত সাধারণ মানুষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version