ঘটনায় পুলিশ জানাচ্ছে, ব্যাঙ্কের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাঙ্কের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে একজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, তদন্ত চলবে, গোটা এলাকায় তল্লাশি চলছে, দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
অ্যালার্ম বাজতেই চম্পট
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি চারচাকা গাড়িতে চেপে সাত থেকে আট জনের ডাকাত দল ওই ব্যাঙ্কে পৌঁছয়। যদিও অ্যালার্ম বেজে যাওয়ায় ব্যাঙ্কের সামনেই ২টি ব্যাগ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশ ব্যাঙ্কের ভিতরে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে কাউকেই দেখতে পায়নি। এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হুড়ার একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
পুরুলিয়ার ডাকাতিতে এখনও কোন গ্রেফতারি নেই
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়ার নামোপাড়া ও নদিয়ার রানাঘাটের সেন কো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের দু’টি শোরুমে একইদিনে হানা দেয় ডাকাতদল। দেদার চলে লুঠপাট। রানাঘাটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। ওই ৪ জনের রয়েছে বিহারের কুখ্যাত শার্প শ্যুটার কুন্দন কুমার যাদব। রাজু ঝা খুনেও তার যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
কেন বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার পুলিশ কর্তারা। সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ বেশ কিছু সূত্র পেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতারই করা যায়নি। সূত্রের খবর, ওই ডাকাতিতেও বিহার-যোগ রয়েছে। আর সেই ঘটনা যখন জেলা পুলিশ প্রশাসনের রাতের ঘুম কার্যত কেড়ে নিয়েছে, ঠিক তখনই ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের ঘটনার সঙ্গেও বিহার বা আগেরদিন সেনকোর শোরুমে লুঠপাট চালানো গ্যাংয়ের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজ পরীক্ষা করে এখনও পর্যন্ত একজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এদিকে পরপর এই ধরণের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।