যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে বিশ্ববিদ্যায়লয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC। আগেই চাওয়া হয়েছিল রিপোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো রিপোর্টে ইউজিসি সন্তুষ্ট হয়নি বলেও সেই সময় জানা গিয়েছিল। আর এবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল। আগামীকাল সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন ইউসিজি-র প্রতিনিধিরা।

সিসিটিভি লাগানো থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ বহু ক্ষেত্রেই হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এমনকী ইউজিসির গাইড লাইন মানছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, এই অভিযোগ তুলে আগেই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেই চিঠির উত্তরও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছে ইউজিসি। কিন্তু তারপরেই দেখা যায় ফের একবার বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে ইউজিসি-র তরফে। আগের উত্তরে যে তারা সন্তুষ্ট নয়, সেই কথা জানায় ইউজিসি। আর সেইসবের মাঝেই শোনা যাচ্ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে টিম পাঠাতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেই দলই আসতে চলেছে আগামীকাল।

Jadavpur University News : বিশ্ববিদ্যালয় কি অবগত ছিল? UGC-কে পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
কয়েকদিন থাকবে প্রতিনিধি দল
সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসে পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন UGC-র প্রতিনিধই দলের সদস্যরা। ক্যাম্পাসের সামগ্রিক অবস্থা, ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি বুঝে দেখারও চেষ্টা করবেন তাঁরা। সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে যে ওই প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন ৪ সদস্য। তাঁরা কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারেন।

Jadavpur University : ‘ভুয়ো খবর, ইস্তফা দিচ্ছি না’, এই সময় ডিজিটালে মুখ খুললেন যাদবপুরের রেজিস্ট্রার
রেজিস্ট্রারের ইস্তফা জল্পনা
এদিকে এই পরিস্থিতিতে আবার গতকাল রেজিস্ট্রার স্নেহমঞজু বসুর ইস্তফা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। শোনা যায়, কোনও এক হুমকি চিঠির প্রেক্ষিতে পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অবশ্য ইস্তফার জল্পনা উড়িয়ে দেন।

Jadavpur University News : CCTV-র জন্য যাদবপুরকে অর্থ মঞ্জুর রাজ্য সরকারের, বরাদ্দ প্রায় ৩৮ লাখ
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, রেজিস্ট্রারের কাছে একটি হুমকি চিঠি এসেছে। চিঠিটি কে পাঠিয়েছেন, তা উল্লেখ নেই। সেই চিঠিতে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে রেজিস্ট্রারকে। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রেজিস্ট্রার। চিঠি দিয়ে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এমনকী এই বিষয়ে একটি ই-মেলও করেন স্নেহমঞ্জু বসু। যদিও তাঁর ইস্তফা গৃহিত হয়নি বলেই জানিয়ে দেন বুদ্ধদেব সাউ। পাশাপাশি খোদ রেজিস্ট্রার এই বিষয়ে এই সময় ডিজিটালকে জানান, ভুল খবর, কালকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত কেউ কিছু ভুল বুঝেছেন। তিনি নিজের দফতরেই কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বেশকিছুদিন ধরেই সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version