তাঁকে অধিকাংশ সময় দেখা যায় রাজনীতির ময়দানে। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে, দলীয় প্রচারে। কিন্তু, সেই BJP সাংসদ আচমকাই ঢুকলেন রান্নাঘরে। শুধু তাই নয় জমিয়ে করলেন রান্নাও। আর বৃষ্টি বাদলের দিনে সেই ‘কুকিং ভিডিয়ো’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর তা দেখে নানা মুনির নানা মত।

ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, রান্না ঘরে সৌমিত্র খাঁ। নিজের হাতে লুচি বেলছেন তিনি। তাঁর এক সহকারীকেও ক্ষণিকের জন্য ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, খুন্তি হাত থেকে ছাড়েননি সৌমিত্র খাঁ। লুচি কড়াইয়ে ছাড়া থেকে ভাজা পর্যন্ত সব একা হাতেই সামলেছেন। এদিকে কড়াইতে গরম গরম লুচি ফুলতে দেখে আনন্দ-আবেগ চেপে রাখতে পারেননি সৌমিত্র।

Sujata Mondal Saumitra Khan : ‘অগাধ সম্পত্তি ওঁর… একদিন সবটা বুঝলাম’, BJP সাংসদকে নিয়ে বিস্ফোরক ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী
তিনি বলেন, “দেখ গোল গোল লুচি হয়েছে। লুচি ফুলছে। মানুষ ইচ্ছে করলে কী না পারে!” হেঁশেল সামলে বিজয়ের হাসি সাংসদের ঠোঁটে -মুখে। তিনি যে অত্যন্ত খুশি তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিকে লুচি রান্নার পর তিনি প্রথম এগিয়ে দেন বাবার দিকে। নিজের হাতের তৈরি লুচি বাবাকে এগিয়ে দিয়ে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সৌমিত্র খাঁ লিখেছেন, “বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল, খুব লুচি বানাতে ইচ্ছে করছিল। আসানসোল মিশন হস্টেল এবং মেসের ৯ বছরের অভিজ্ঞতা একটু ঝালিয়ে নিলাম। দেখলাম পারি কি না।”
Soumitra Khan News : চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ! BJP সাংসদের গাড়ি ধাওয়া, বাঁকুড়ায় হইচই
একদিকে যখন সৌমিত্র খাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর অনুগামীরা সেই সময় প্রাক্তন স্বামীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সুজাতা মণ্ডল। পুরোটাই ভোট গিমিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সুজাতা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই ভিডিয়ো দেখেননি। কিন্তু, কোনওদিন সৌমিত্র তাঁর দেখাদেখি কুটো ভেঙে দুটো করেননি।

সুজাতা আরও বলেন, “ওকে আর কয়েক মাস পরে অন্যের জামাকাপড় কেচেই সংসার টানতে হবে। কারণ মানুষ আর ওকে বিশ্বাস করবে না। তাই এখন থেকে অভ্যাস করছে বোধহয়। ভোট আসছে তাই মানুষকে দেখানোর জন্য এসব নাটক করছে। আমি তো ওকে কোনওদিন মাটি থেকে একটা কাপড় তুলে রাখতে দেখিনি!”

Sujata Mondal News : ‘এতদিন আমি সামলেছি, এবার…’, সুজাতা প্রার্থী হতেই ফুঁসে উঠলেন সৌমিত্র
এই তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, “মানুষ আর ওকে ভরসা করবে না। ফলে আর কটা দিন যেতে দিন অন্যের জামা-কাপড় কাচতে হবে। ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর লুচির দোকান খুলেই ওকে খেতে হবে। তাই এখন থেকে অভ্যাসটা ভালো।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version