অরিত্রর ভূমিকা নিয়ে কমিটি পৃথক তদন্তের সুপারিশ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে, পৃথক কমিটির মাধ্যমে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। গবেষণা শেষ হলে আলু আর ক্যাম্পাসে আর ঢুকতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। গত ৯ অগস্ট মেন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের সাজার দাবিতে সরব। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘র্যাগিং হয়নি’ সুলভ একটি ন্যারেটিভ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে অভিযুক্তদের আড়াল করছেন অরিত্র ও তাঁর সংগঠন ‘কালেক্টিভ’
ঘটনার ৫ দিন বাদে ফেসবুকে ছাত্র সংসদ ‘ফেটসু’ থেকে বিবৃতি দিয়ে কার্যত দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন অরিত্র। যে ছাত্রনেতাকে ক্যাম্পাসের সব আন্দোলনে সামনের সারিতে দেখা যায়, তাঁকে কেন এই ইস্যুতে দেখা যাচ্ছে না, সে প্রশ্নে পোস্টারও ফেলেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। এর ১২ দিন বাদে অরিত্রই ফেসবুক পোস্টে জানান – তিনি তখন কলকাতায় ছিলেন না। ১০ অগস্ট কলকাতা ছাড়েন, ১১ অগস্ট কাশ্মীরে যান।
এর পরে অরিত্র যে বিভাগে গবেষণা করছেন, সেখানকার অ্যাটেন্ড্যান্স রেজিস্টারের ছবি সামনে এনে ছাত্র সংগঠন এসএফআই দাবি করে, অরিত্র ১০ অগস্ট কলকাতা ছাড়ার কথা বললেও ১১ তারিখে তিনি হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন। কলকাতা ফিরেই অরিত্রকে প্রথমে পুলিশ, পরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু তাঁর কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি তদন্ত কমিটি। তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত একাধিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘ফেটসু’ অতীতে একাধিক বার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি-র সুপারিশ কার্যকরে বাধা দিয়েছে বলেও মনে করছে কমিটি।
শিক্ষক সংগঠন আবুটার তরফে গৌতম মাইতির অবশ্য প্রশ্ন, ‘এই তদন্ত কমিটি আরও একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ করছে কেন? অরিত্রকে আড়াল করার যেন কোনও উদ্যোগ না নেওয়া হয়!’ প্রায় একই কথা টিএমসিপির সঞ্জীব প্রামাণিকের। তাঁর সংযোজন, ‘আগামীদিনে এই প্রভাবশালী ছাত্রনেতাকে আড়াল করা হতে পারে।’ যদিও এসএফআইয়ের শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘অরিত্র ও কালেক্টিভ প্রকাশ্যে র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের প্রশ্রয়, আশ্রয় দিয়েছে। ওর বিরুদ্ধে এই তদন্তের সুপারিশকে আমরা স্বাগত জানাই।’ যদিও অরিত্রকে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ করেও জবাব মেলেনি।