পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত গৃহবধূর সঙ্গে কুলতলির দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় হাসান হালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার উপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। টাকা না পেলেই তাঁকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ ৷
একাধিকবার দুই পরিবার বসে বিষয়টি মেটালেও কয়েকদিন পরেই আবার পণ চেয়ে শুরু হত অত্যাচার৷ ইতিমধ্যে ফের দ্বিতীয় বিয়ে করেন হাসান হালদার৷ তারপর থেকে অত্যাচার আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। স্বামী ও সতীন দু’জনে মিলেই তাঁকে প্রায়ই মারধর করত বলে অভিযোগ ৷ নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁকে মারধর করে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও সতীন। এমনকী তাঁর গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ই ঘটনায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়েও গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার পর তাঁকে জোর করে বাড়িতে আটকেও রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি কোনরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার এদিন সকালে কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে ৷ অভিযুক্তরা পলাতক ৷ তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷
নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, ‘হাসানের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে পণ দেওয়ার নামে আমার উপর অত্যাচার চলত। আমার স্বামী সম্প্রতি বিয়ে করার পর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বাড়ে। সম্প্রতি আমাকে খুব মারধর করা হয়, এমনকী অ্যাসিড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। আমাকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কোনওরকমে আমি পালিয়ে বেঁচেছি। আজ সকালে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে’