১৪ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা। এদিন মা তারার দর্শন করতে দূর দূরান্ত থেকে তারাপীঠে আসেন বহু ভক্ত। তৎপর থাকে প্রশাসনও। শুধু এই দেশের ভক্তরাই নন, তারাপীঠে আসেন বিদেশের ভক্তরাও। শুক্রবার ভক্তদের ভিড়েই দেখা গেল এক বিদেশি সন্ন্যাসিনীকে।

তিনি তারা মাকে আপন মা বলে সম্বোধন করেন। জানান, মা তারাই তাঁকে এখানে টেনে এনেছেন। সুদূর রাশিয়াতে তাঁর জন্ম। কিন্তু, ভক্তির টানে ভূভাগের দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে দিল্লি থেকে এসেছেন আরও এক সন্ন্যাসিনী। কৌশিকী অমাবস্যার প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে পুণ্যার্থীদের ঢল নামছে তারাপীঠে।

Tarapith Mandir : তারাপীঠ যেতে খসবে বাড়তি টাকা? কৌশিকী অমাবস্যার আগে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে চর্চা
ওই বিদেশিনী জানান, তাঁর নাম যোগী অন্নপূর্ণা নাথ! তাঁর জন্ম হয়েছে রাশিয়াতে। সেখান থেকেই তিনি তারাপীঠে এসেছেন দর্শনের জন্য। এই বিদেশিনী বলেন, “এখানে মাতার কৃপা নিতে এসেছি। আমি কোনও পরিকল্পনা করে এখানে আসিনি। আমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এই জায়গাটা আমার মনে ছিল। আমার কোনও পরিকল্পনা নেই যে এখানে কতদিন থাকব। আমার একমাত্র পরিবার মা তারা। তিনিই আমার রক্ষা করেন। তিনি আমার মা। আমি মায়ের কাছে এসেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনে এখন বড় বদল ঘটছে। তাই আমি চাই মায়ের আশীর্বাদ। আমি এখান থেকে কোথায় যাব না। তবে শক্তিপীঠের দর্শন করতে চাই। আমার বন্ধুর সঙ্গে এখানে এসেছি আমি। ও যদি চায় সেক্ষেত্রে আমি দর্শন জারি রাখব।”

Tarapith Mandir News : মা তারা দর্শনে কমবে ঝক্কি! কৌশিকী অমাবস্যার আগেই হোটেল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত তারপীঠে
উল্লেখ্য, কৌশিকী অমাবস্যার জন্য সেজে উঠছে তারাপীঠ মন্দির। জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও কোনওভাবেই যাতে সামান্যতম বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেই জন্য থাকছে পর্যাপ্ত নজরদারিও।

কী ভাবে তারাপীঠে পৌঁছবেন?
অনেকেই তারা মায়ের দর্শনের জন্য় রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছন ট্রেনে। এরপর সেখান থেকে অটো করে তাঁরা পৌঁছন মন্দিরে। পাশাপাশি যাঁরা গাড়ি করে আসছেন তাঁদের যাতে পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না তৈরি হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে। চিলার মাঠে ব্যবস্থা করা হয়েছে পার্কিংয়ের।

Kachua Dham Loknath Mandir : কচুয়ায় ৩ দিন ব্যাপি উৎসব, বিপুল ভক্ত সমাগম! যশোর রোডে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
সেখানে গাড়ি রেখে কিছুটা এগিয়ে গেলেই পড়বে তারাপীঠ মন্দির। এছাড়াও মন্সুবা মোড়ে নির্ধারিত একটি জায়গাতে করা যাবে পার্কিং। সেখান থেকে যাওয়া যাবে মন্দিরে। ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে করা হয়েছে যাবতীয় ব্যবস্থা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version