দাঁত নিয়ে জন্মাল সদ্যোজাত! এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নবজাতকের মুখের নীচের মাড়িতে সামনের দিকে রয়েছে একটি দাঁত। এমনই তাজ্জব ঘটনা ঘটেছে কাঁথির নার্সিংহোমে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খুশি হওয়ার বদলে অবাক সদ্যোজাতের বাবা-মা। চিকিৎসকরাও এই ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন। এমন ঘটনা খুবই বিরল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আক্কেল দাঁতের ব্যথায় উড়েছে রাতের ঘুম? চিন্তা নেই, এই ৫ টোটকাতেই হবে যন্ত্রণার উপশম
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাতের মাড়িতে দাঁত থাকলেও এটা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। পরে ছোটো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির দাঁত তুলে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, দাঁত থাকার ফলে শিশুর মায়ের জন্য স্তন্যপান করাতে অসুবিধা হবে, তেমনই দাঁতের সঙ্গে ঘষা লেগে সদ্যোজাতের জিভে ঘা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই কারণে দাঁত তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

Howrah News Today : চিকিৎসার গাফিলতিতে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, তুলকালাম হাওড়ার হাসপাতালে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা খুবই বিরল। তিন থেকে চার হাজার সদ্যোজাত শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখা যায়। কাঁথির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে শিশুটির জন্ম হয়। রাহুল সাউ নামের এক দন্ত চিকিৎসক শিশুটির মাড়িতে অস্ত্রোপচার করেন বলে ওই নার্সিং হোম সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসার বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধরণের দাঁতকে বলা হয় নেটাল টুথ। এই ধরনের দাঁত শিশুর মাড়িতে থাকলে চিকিৎসকরা তা সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। সাধারণত জন্মের প্রথম চার সপ্তাহের মধ্যেই এই দাঁত তুলে ফেলা হয়। এই দাঁত তুলে ফেললে ভবিষ্যতে নতুন দাঁত গজানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Howrah News : এক ডাকেই ‘সাড়া দিলেন’ অভিষেক! গলা থেকে লকেট বের করে প্রাণ বাঁচল শিশুর
এই ঘটনা নিয়ে দন্ত চিকিৎসক রাহুল সাউ বলেন, ‘শিশুটি জন্ম নেয় দাঁতসহ। এতে ভয়ের কোনA কারণ নেই। দাঁত তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা বিরল হলেও অবাস্তব নয়। আগেও এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সদ্যোজাত শিশুর দাঁত থাকলে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ক্ষেত্রে তাঁর মায়ের সমস্যা হতে পারে। এমনকী দাঁতের সঙ্গে জিভের ঘষা লেগে শিশুর মুখের ভিতর ঘা হতে পারে। সেই কারণেই দাঁতটি তুলে ফেলা হয়েছে। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ। কোনও সমস্যা নেই। ‘



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version