কী ঘটনা জানা গিয়েছে?
যাদবপুরের পর এবার ডালখোলায় র্যাগিং এর শিকার এক কিশোর। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। আক্রান্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ছাত্রের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার বোষ্টমতলা গ্রামে।
কী ঘটনা ঘটেছে?
গত রবিবার রনজিতের বাবা ঈশ্বরচন্দ্র পাল ছেলেকে নিয়ে বিকেলে রেখে আসেন বিদ্যালয়-এর ছাত্রাবাস শিবালিক হাউসে। অভিযোগ, ওই রাতেই ছাত্রটিকে ডেকে পাঠায় ছাত্রাবাসের দশম শ্রেণির তিন ছাত্র। তারা এই ছাত্রকে প্রথমে এঁটো বাসন মাজতে পাঠায়। তারপর বাসন মাজা ঠিক হয়নি বলে ও নানান অজুহাতে তার উপরে চলে অকথ্য অত্যাচার। সঙ্গে চলে মারধর সহ অশালীনতা। নিগৃহীত ছাত্র এই বিষয়ে হোস্টেল সুপারকে অভিযোগ জানালে তার উপর আবারও নেমে আসে অবর্ণনীয় অত্যাচার।
এরপর কী ঘটল?
ছাত্রটি এরপর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুরো বিষয়টা কোনওরকমভাবে বাড়িতে জানালে বাবা ঈশ্বরচন্দ্র পাল গ্রামের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান ওই নবোদয় বিদ্যালয়ে। সেখানে ছেলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দেখে দ্রুত নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওই ছাত্রের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান।
বিদ্যালয় কী জানাল?
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ রেহান এর কাছে অভিযোগ জানালে অধ্যক্ষ ওই তিন দশম শ্রেণির ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেন। যেখানে বহিষ্কৃত ছাত্ররা এখনও হুমকি দিয়ে চলেছে ছাত্রাবাসে ঢুকে রনজিৎকে হত্যা করার। ভয়ে ওই বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না নিগৃহীত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রটি।
নিগৃহীত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য
নিগৃহীত ওই ছাত্রের কাকা সাধন পাল জানান, সেইদিন রাতে ওকে দুবার মারধর করা হয়। ওর উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। এরপর ভোর বেলায় ও বাবাকে ফোন করে। কাঁদতে কাঁদতে পুরো ঘটনার কথা জানায়। ওকে দ্রুত স্কুল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। এরপর আমরা ওকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনি। এর বিরুদ্ধে আমরা স্কুলকে অভিযোগ জানিয়েছি।