Kajal Sheikh: একে একে নিভিছে দেউটি। গোরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি বীরভূমের বাঘ বলে বিখ্যাত অনুব্রত। দীর্ঘদিন তৃণমূলের স্থানীয় সংগঠনের মুখ তিনিই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এবার বীরভূম জেলার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনেও ব্রাত্য অনুব্রত অনুগামী।

জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনে জায়গায় পেল না বীরভূম অনুব্রত ঘনিষ্ঠ জেলার প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, যদিও নেতৃত্বের দাবি অভিভাবক হিসেবে থাকবেন তিনি।বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে আগেই শপথ বাক্য পাঠ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল বিরোধী হিসেবেই এক সময় পরিচিত তৃণমূল নেতা কাজল শেখ।

Birbhum News : ‘বিজেপি ভাল দল…আমার অসুবিধে নেই!’ বীরভূমের কাজল শেখের মন্তব্যে তোলপাড়

সোমবার বীরভূম জেলা পরিষদেরও স্থায়ী সমিতির গঠন সম্পন্ন হল । সূত্রের খবর, আগামী সাতদিন পর গঠন হবে কর্মাধ্যক্ষের তালিকা। স্থায়ী সমিতিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে নাম পাঠাবেন যাদের, তাদেরকে কর্মদক্ষ করা হবে। সেক্ষেত্রেও কর্মাদক্ষের তালিকা থেকে অনুব্রত গোষ্ঠীর অর্থাৎ অনুব্রত অনুগামী হিসেবে পরিচিত অধিকাংশ নাম বাদ যেতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। দলীয় সূত্রে খবর মাত্র দু থেকে তিনজন পুরনো কর্মাধ্যক্ষ ছাড়া, বাকি সকলেই হবেন নতুন মুখ ।

Anupam Hazra: ‘মনে হচ্ছে ED-CBI আসতে পারে তাদের আহবান জানাচ্ছি…’, দুর্নীতিগ্রস্থ TMC নেতাদের শর্তসাপেক্ষে বিজেপিতে ডাক অনুপমের
অন্যদিকে বীরভূম জেলার কোর কমিটির আহবায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও প্রাক্তন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি এবারও জেলা পরিষদের আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন।। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে স্থায়ী সমিতির তালিকা থেকে।। যদি ও সভাধিপতি কাজল শেখ দাবি করেন, তিনি অভিভাবক হিসেবে থাকবেন এবং যে পথ দেখাবেন সে পথে তারা হাঁটবেন। কিন্তু, জেলা পরিষদের একের পর এক নির্ণয়ে অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর লোকেদের যে বাদ দেওয়া হচ্ছে তা প্রায় কার্যত স্পষ্ট। একদিকে প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষরাও যেমন বাদ পড়েছে তেমনি বাদ পড়লেন এবার খোদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি।

Anubrata Mondal : কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কৃপাময়কে তলব করল সিবিআই!
তবে আজও জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের পর সভাধিপতি কাজল শেখ দাবি করেছেন, অনুব্রত টিমই যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করেছে তেমনি আগামীতেও কাজ করবে।। পাশাপাশি, তিনি দাবি করেন নতুন মুখরা যদি নেতৃত্বে আসেন তবে নতুনভাবে পরিচালিত হবে জেলা পরিষদ। আর যারা প্রবীণ রয়েছেন তারাই আগামীতে পথ দেখাবেন।

দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বীরভূমের অবিসংবাদী নেতা হয়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি একাই দাঁড়িয়ে বীরভূমের রাজনীতির জেলা পরিষদের একের পর এক হোর্ডিং থেকে ব্যানারে। এখনও সেখানে পট পরিবর্তনের পালা। জেলার সমস্ত পার্টি অফিসে কেষ্টরই ছবি। তবে কি এবার ছোঁয়া বাঁচাতে সেখানেও পরিবর্তনই অবশ্যম্ভাবী। আগামী দিনে সেখানেই কোন পথে এগোয় এই জেলার রাজনীতি, সেটাই এবার দেখার বিষয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version