ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়া গ্রাম। সেখানেই গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তার উপর ধানের চারা গাছ পুঁতে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। দ্রুত এই রাস্তার সমস্যার সমাধান হোক, এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের।
উল্লেখ্য, গত বাম জমানার শেষের দিকে গ্রামের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংক্রিটের এই ঢালাই রাস্তাটি। বর্তমানে নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সেই রাস্তার উপর দুই থেকে আড়াই ফুট পলি পড়ে একপ্রকার নর্দমা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কংক্রিটের ঢালাই রাস্তার চিহ্নটুকু নেই। নর্দমায় ঢাকা পড়েছে গোটা রাস্তাটাই। অথচ এই রাস্তা দিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের কচিকাচাদের স্কুলে যাতায়াতও করতে হয় এই পথ দিয়েই। বারংবার অসুবিধার কথা জানানো হলেও সমস্যা সমাধানের কোনও নাম গন্ধ নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা
এই বিষয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অর্ঘ্য মণ্ডল বলেন, ‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেনাচাপড়া গ্রামের ওই বুথ বিজেপি জয়লাভ করেছে। তাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত মানুষের সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করছে না।’ এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অর্ঘ্যবাবু।
অন্যদিকে তৃণমূল পরিচালিত তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় জানান, এই রকম কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং সত্যিই যদি অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হবে। তবে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। গণেশবাবুর দাবি, দলমত নির্বিশেষে এলাকায় উন্নয়ন চলছে, তাই কোথাও বিজেপি জয়লাভ করলে সেখানে উন্নয়ন হবে না, একথা একেবারেই ভিত্তিহীন।