Dakshineswar Skywalk: পুজোর আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হবে দক্ষিণেশ্বর রানী রাসমণি স্কাইওয়াকের। এখন KMDA-এর তরফে চলছে এই স্কাইওয়াকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যদিও তার জন্য কোনরকম বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসা ভক্তদের বা যাতায়াতকারীদের। স্বাভাবিক রয়েছে চলাচল। কিন্তু, তার মাঝেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দুর্বল নাট ও যে সমস্ত জায়গায় ফাটল ও সমস্যার চিহ্ন দেখছেন ইঞ্জিনিয়াররা সেখানে মেরামতি করে পুনরায় এই স্কাইওয়াককে আগের জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উদ্বোধনের চার মাসের মাথায় এই স্কাইওয়াকে দেখা দিয়েছিল ফাটল। সেই সময় তড়িঘড়ি করা হয়েছিল মেরামতির কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছর পর তাই আবারও ফের এই স্কাইওয়াকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ মেরামতির কাজ শুরু করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA)।

Bankim Setu Howrah : ভেঙে পড়ছে চাঙর! ‘বিপজ্জনক’ বঙ্কিম সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কবে? ক্ষোভ হাওড়ায়
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী জানান, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ KMDA দেখছে। স্কাইওয়াক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে KMDA কে। তাই বর্তমানে কী পরিস্থিতি রয়েছে। এখনও কতটা কাজ বাকি আছে তা KMDA বলতে পারবে। তবে স্কাইওয়াক কোনভাবেই বন্ধ করে কাজ হচ্ছে না। জনসাধারণের জন্য খোলা রেখেই মেরামতির কাজ অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।’

Kolkata Flyover : যানজট ছাড়াই চিংড়িহাটা টু নিউটাউন, নতুন উড়ালপুলের দরপত্র পুজোর আগেই
কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ( KMDA) দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মুহূর্তেও চলছে স্কাইওয়াকের কাজ। ক্ষয়ে যাওয়া যে সমস্ত বিয়ারিং রয়েছে, সেগুলি প্রতিস্থাপন করা। জং পড়ে যাওয়া নাট বদলানো, স্কাইওয়াকের কাঠামোর উপর ক্ষয়রোধী পেইন্টিং করার কাজ চলছে। এই কাজের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় স্কাইওয়াক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। বেশ কিছুদিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এই কাজের। দুর্গা পুজোর আগেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরিয়ে পুনরায় স্বাভাবিক হবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক বলেই মনে করা হচ্ছে।

Kaushiki Amavasya 2023: কৌশিকী অমাবস্যায় আর্বিভূত হন দেবী! ভোগের মাছ প্রসাদ হিসেবে পান ভক্তরা
আধিকারিক জানান, স্কাইওয়াকের লোহার সংযোগস্থলের বেশ কয়েকটি নাট ও বোল্টের বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে ক্ষয় দেখা দিয়েছিল। ওই সমস্ত ক্ষয়প্রাপ্ত নাট এবং বোল্টগুলি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, তারপর পেইন্টিং করার কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত শেষ হবে এই কাজ। দক্ষিণেশ্বরে আসা মানুষদের কাছে এই স্কাইওয়াক যথেষ্টই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে কয়েক বছরে। আর তার ফলে যানজট এড়িয়ে সোজা পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে মন্দিরের একেবারে সামনে। বিশেষ দিনগুলিতে ভিড়ের সমস্যাও তেমনভাবে হচ্ছে না এই স্কাইওয়াক থাকায়। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের মা-কে দর্শনের পাশাপাশি ভক্তদের কাছে যেন বাড়তি আকর্ষণ থাকে এই স্কাইওয়াক। এখানে তোলা ছবি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version