এই সময়, দুর্গাপুর: ১ সপ্তাহের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি যাওয়ায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খুইয়েছেন দুর্গাপুরের ২ ব্যবসায়ী। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের প্রথম সারির এক নেতার নাম। ডিজিটাল দুষ্কৃতীদের হাতে শিকার হতে হলো সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারকে। বুধবার সকালে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ দফায় মোট ৩ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই মাধ্যম সেই একই- আধার এনেবল্‌ড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)। একের পর এক এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের মধ্যে।

Cyber Crime : এবার আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে অ্যাকাউন্টে হানা, হ্যাকারদের শিকার দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী
এদিন অ্যাকাউন্ট থেকে আচমকা টাকা ডেবিট হওয়ার পর পরই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী আধার বায়োমেট্রিক লক করে দেন পঙ্কজ। পরে জানতে পারেন, আধার বায়োমেট্রিক হ্যাক বা ক্লোন করেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পঙ্কজ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের জীবনের যাবতীয় তথ্য এখন কেন্দ্রের হাতে। আধারকার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক, প্যানকার্ডের লিঙ্ক, এমনকী আধারের সঙ্গে রেশনেরও লিঙ্ক করতে হয়েছে সবাইকে। কিন্তু আমাদের কষ্টার্জিত টাকার কোনও নিরাপত্তা নেই। সরকারি স্পনসরে ছিনতাই চলছে।’

Cyber Crime : বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি, ফাঁদে কলকাতার বাসিন্দাও
গত ৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দু’টি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তারও আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর একই পদ্ধতিতে হ্যাকারদের শিকার হয়েছেন কালীনগর এলাকার ব্যবসায়ী তন্ময় প্রামানিক। তিনি বলেন, ‘সেদিনের পর থেকে সর্তক হয়ে গিয়েছি। আধার বায়োমেট্রিক লক করে দিয়েছি।’ তবে তাঁর প্রশ্ন, ‘যারা বায়োমেট্রিক লক-আনলকের ব্যাপারে জানেন না তাঁদের কী হবে? যে কোনও সময়ে তাঁদের অ্যাকাউন্টে হানা দিতে পারে হ্যাকাররা।’

Calcutta High Court : বাংলাদেশি জঙ্গিদের আধার তথ্য দিতে হবে UIDAI-কে! হাইকোর্টের রায়ে বড় জয় STF-র
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘বায়োমেট্রিক ব্যবহার করার পরে লক করে রাখতে হবে। লক না-করলে তথ্য বেরিয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি এইপিএসের মাধ্যমে টাকা তোলার একাধিক অভিযোগ এসেছে। যদিও এইপিএস-এ একদিনে ১০ হাজারের বেশি টাকা তোলা যায় না। একটি চক্র কাজ করছে।

EPFO-র নামে বড় প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস, বিশেষভাবে সাবধান থাকুন বয়স্করা
আধার বায়োমেট্রিক যাঁরা ব্যবহার করছেন তাঁদের সর্তক থাকতে হবে।’ তিনি জানান, আধারের ওয়েবসাইট www.uidai.gov.in বা আধারের অফিসিয়াল অ্যাপ থেকে খুব সহজেই আধারের বায়োমেট্রিক লক বা আনলক করা যায়। বর্তমানে রেশন দোকান, ব্যাঙ্ক, রেজিস্ট্রি অফিস, হোটেল সমেত বিভিন্ন জায়গায় দরকার পড়ে আধার বায়োমেট্রিকের। সেই জায়গায় নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version