খাতায় কলমে Awas Yojana বাড়ি পেয়েছেন তাঁরা। তবে ওইটুকুই। চার দেওয়াল আর মাথায় ছাদ পেতে আজও অপেক্ষায় তাঁরা। ডিসেম্বর থেকে ছয়মাস পেরিয়ে গেল, পাকা বাড়ি জোটেনি আজও। উপভোক্তাদের ঠাঁই হয়েছে ফাটা ত্রিপালের তলায় কিম্বা ভাড়ার বাড়িতে। কেন্দ্র-রাজ্য রাজনৈতিক তরজার মাঝেই ২৫০০ পরিবারকে চোকাতে হচ্ছে মাসুল। ঘটনা মেদিনীপুর পুরসভায়।

Paschim Medinipur : টাকার লোভেই শ্রীমতির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় সৌরভের, পরে খুনের পরিকল্পনা
কী অভিযোগ রয়েছে?

পুরসভা ভোটে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারলে দুঃস্থ পুর বাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারি আবাস যোজনার সুবিধা। মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২৫০০ সরকারি আবাস যোজনার বাড়ির। গত বছর ডিসেম্বরে তালিকা তৈরি করে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ায় শুরু করে পুরসভা। আশ্বাস দেওয়া হয় চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি তুলে দেওয়া হবে উপভোক্তাদের হাতে। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে রীতিমতো আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল পুরবাসীরা। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরীর কাজও শুরু করে উপভোক্তারা। কিন্তু সেই বাড়িগুলো কি আদৌ সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে! চিত্র ঠিক কি? খতিয়ে দেখার চেষ্টা করি আমরা আমাদের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়লো তা দেখলে শিউরে উঠবেন আপনিও।

Paschim Medinipur News : পুত্র জন্ম দিতে ‘অপারগ’ স্ত্রী, গৃহবধূকে ‘ঘাড়ধাক্কা’ প্রাথমিক শিক্ষকের! ঘাটাল তোলপাড়
এরপর কী হল?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপভোক্তদের থাকতে হচ্ছে ভাড়ার বাড়িতে। অনেকেই আবার অসমাপ্ত সরকারি আবাস যোজনার বাড়িতে কোনওরকমে ত্রিপল খাঁটিয়ে রয়েছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, ২৫০০ বাড়ির প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু করা গেলেও একটি বাড়িও সম্পূর্ণ তৈরি করে উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। কোন বাড়ির পাকার দেওয়াল হয়েছে, তো কোন বাড়ির শুধু নিচের অংশ। কোথাও আবার কাজ শুরু করার পর এই বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

Paschim Medinipur News : তালাবন্ধ স্কুলের ভেতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ, রহস্যজনক কাণ্ড মেদিনীপুরে
কেন এমন পরিস্থিতি?

মেদিনীপুর পুরসভা দায় ঠেলেছে কেন্দ্রের ঘাড়ে। প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি টাকা এলেও সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য আর কোন টাকা আসেনি পুরসভার হাতে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক অবরোধ করেছে! তাই নাকি সমস্যায় পড়তে হয়েছে উপভোক্তাদের। একই সাথে মেদিনীপুর পুরসভার পুর প্রধানের আশ্বাস, মেদিনীপুর পুরসভার এই ২৫০০ বাড়ি তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী অন্য খাত থেকে অর্থের সংস্থান করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সমস্যা মিটবে কবে?

এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা সদুত্তর দিতে পারেননি মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান। তাঁর আশ্বাস, ‘পুরসভার তরফে মজুত রাখা হয়েছে ত্রিপল। কোন উপভোক্তা চাইলেই ত্রিপল নিতে পারে পুরসভার থেকে।’

Hooghly News: ‘শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার ঘর পাইনি,কাজ নেই, সিপিএমই ভালো’

বিরোধীরা কী বলছে?

বিজেপি সংসদ দিলীপ ঘোষের দাবি, শুধু মেদিনীপুর পুরসভায়ই নয় সারা রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার জন্য টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে টাকা নিয়ে নেওয়ার পরেও পাঠানো হয় নি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট। রাজ্য কেন ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট কেন্দ্র কে দেয়নি আগে সেই প্রশ্নের উত্তর দিক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version